ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জখম চারজন হলেন- ভ্যানচালক বিপুল শেখ (৫০), স্ত্রী সেফালী বেগম, ময়েন মোল্যা ও সুমন শেখ। আহতদের মধ্যে বিপুল ও সেফালীকে ঢাকার শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকী দুজনকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কুচিয়াগ্রামের রুবেল শেখের সঙ্গে একই গ্রামের সিদ্দিক শেখের জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিরোধপূর্ণ জমি সার্ভেয়ার পরিদর্শনে করেন। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিপুল ও তার স্ত্রী সেফালীসহ উভয়পক্ষের চারজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর বিপুল ও তার স্ত্রীকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান।
বিপুলের দলনেতা উজ্জ্বল শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। মঙ্গলবার সকালে আমাদের দলের রুবেলের জমি মাপতে সার্ভেয়ার এনেছিলেন। সেখানে নজরুল সবার সামনে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও হামলার হুমকি দেন। বুধবার সকালে নজরুলের নেতৃত্বে তার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আমাদের দলের তিনজনকে আহত করে।
ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত নজরুল শেখ বলেন, রুবেলের সঙ্গে আমার দলের সমর্থক সিদ্দিক শেখের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই জমি মঙ্গলবার সকালে সার্ভেয়ার মাপতে আসেন। তখন আমাদের লোকজনকে বিপুল মারার হুমকি দেন। বুধবার সকালে বিপুলসহ তাদের পক্ষের লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে সুজন নামে এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত হন। তাকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (ওসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। জমি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :