AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কোটচাঁদপুরের কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণ ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট পেশ


Ekushey Sangbad
সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ
০২:৩৭ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
কোটচাঁদপুরের কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণ ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট পেশ

কোটচাঁদপুরে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তদন্ত কমিটি। তবে মামলা হয়েছে কিনা জানেন না বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও তদন্ত কমিটির প্রধান জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিক।

গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার সময় কোটচাঁদপুরে বিস্ফোরন ঘটে কাঠ বয়লার মেশিন। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান দুই কাঠ শ্রমিক। আহত হন আরো এক শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্থ্য হন পাশের জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বাড়ির প্রাচীর, ল্যাট্রিন ও হাকিমের ইজিবাইক। 

ওই ঘটনায় গঠিত হয় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান করা হয় ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিক কে। কমিটির অন্য তিন সদস্যের মধ্যে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, উপমহাপরিদর্শক কলকারখানা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস ঝিনাইদহের আব্দুস সালাম।

গেল (১৫ জানুয়ারি) বুধবার ওই কমিটি তদন্তে আসেন কোটচাঁদপুরের সেই ঘটনাস্থল। তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান ও ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করেছেন। তদন্তের পর গেল ২০ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্টও জমা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। তবে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এটা আমার জানা নাই।

এদিকে ওই ট্র্যাজিডির শিকার মহেশপুর আলমপুর ব্রীজ ঘাটের আলমগীর হোসেন (৩৫)। তিনি বর্তমানে যশোরের কুইন্স হাসপাতালের ৩১৪ নাম্বার কক্ষের একটি বিছানায় শারিরীক ক্ষত নিয়ে শুয়ে যত্নণায় কাতরাচ্ছেন। সংকট দেখা দিয়েছে চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে। 

ইতোমধ্যে একটি অপারেশন করানো হয়েছে। যাতে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। সামনে আরো দুটি অপারেশন করতে হবে। তাতে প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা।  যা তাদের পক্ষে কোন রকম ম্যানেজ করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন ছেলে পারভেজ হোসেন। তিনি বলেন, তিন জনের সংসার ছিল আমাদের। পিতা মাতা আর আমি। সংসারে আয়ের একমাত্র মানুষ ছিলেন তিনি। যার উপার্জনে চলত সংসার। 

তিনি বলেন, গেল চার বছর হল মা স্ট্রোক জনিত কারনে পঙ্গু হয়ে বাড়িতে পড়ে আছেন। আবার পিতার সঙ্গে ঘটলো এ ঘটনা। এখন আমাদের সংসার চালানোই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।পিতার চিকিৎসা ব্যয় মেটানো কোন রকমই সম্ভব না।

আলমগীর হোসেন মহেশপুর উপজেলার আলমপুর ব্রীজঘাট এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!