অবশেষে কালীগঞ্জের সেই আলোচিত কাঁচা বাজারের সাধারণের হাটা চলার পথ ও পণ্য সামগ্রী নিয়ে বসার মেঝের ঢালাই এবং আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরুর উদ্ধোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালীগঞ্জ বাজারের বটতলা মোড় হতে বাজারের ভিতরে মাছ পট্টি পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের পায়ে চলার পথ এবং বিভিন্ন সবজি, ফল মুল ও মাছ-মাংশ বিক্রেতাদের বসার স্থানটি ক্রংকিটের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। যা প্রায় এক দশক যাবৎ ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী ছিল। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের ভিতরে জলজবদ্ধতা তৈরি হতো। যা বিগত সরকারের আমলে কোন জনপ্রতিনিধি করার উদ্যোগ নেয়নি। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাজরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের। বাজরের ভিতরের মেঝের ঢালাই ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মানের ফলে এক দশকের ভোগান্তির অবসান হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্ধ (এডিপি) প্রকল্পের আওতায় কালীগঞ্জ পৌরসভার বাজারের ভিতরে পণ্য সামগ্রী নিয়ে ব্যবসায়ীদের বসার ও ক্রেতা বিক্রেতাদের হাটাচলার পথের ক্রংকিটের ঢালাই কাজ শুরু হয়। বটতলা মোড় সংলগ্ন গৌড়াঙ্গ ভান্ডার হতে শুরু করে দক্ষিন-পশ্চিম দিকে মাছ পট্টি পর্যন্ত শেডের দুই পাশে বাজারে ভিতরে দুই লেনের রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার দুই পাশে রয়েছে ঢাকনাযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রায় ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫ শত উনত্রিশ টাকা ব্যায়ে নির্মান কাজ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।
বাজারের একাধিক সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ময়লা কাদার উপর বসে ব্যবসা করতাম। ক্রংকিটের ঢালাই দেয়ায় আমাদের দূর্ভোগ লাগব হয়েছে। ফ্লোর ঢালাইয়ের কারনে বাজারের পরিবেশ সুন্দর হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন অনায়াসে ভ্যান ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকসা নিয়ে যাতায়াত করতে পারছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মন্নুর আহমেদ প্রতিবেদককে জানান, বাজারের ভিতরের নাজুক অবস্থা দীর্ঘদিনের। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের চলাচলের অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে দ্রæততম সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করা হচ্ছে। অবশিষ্ট কাজ পরের ধাপে করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :