মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর সীমান্তে মেঘনা নদীতীরে মাটি কেটে বিক্রির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহিরের গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলী (৪০) নামের আরও একজনকে গুরুতর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কালিরচর এলাকায় নদীতে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান তারা।পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিহত দইজনের মরদেহ নিয়ে আসে স্বজনরা।
নিহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের পুত্র রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহির দুজনেই মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের কালিরচর এলাকার বাসিন্দা। মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরের মাটি কেটে বিক্রির ব্যবসা নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোঁধ চলছে। প্রায়ই তারা রাতের বেলা নদীতে গোলাগুলিতে জড়ালেও নৌ পুলিশের তেমন কোন ভুমিকা দেখা যায় না।
পুলিশ জানায়, চাঁদাবাজি, বালুদস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে অভিযুক্ত ২ জনের বিরুদ্ধে।নিহতের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, `মাটি কাটা নিয়ে কিবরিয়া মিজি আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে একজন সাধারণ জেলে।`
অভিযোগের বিষয়ে কিবরিয়া মিজি ও জহির ইসলাম ওরফে কানা জহিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, শুনেছি নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। মরদেহগুলো মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল আমরা করবো। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবে নৌ পুলিশ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :