বিদায় নিচ্ছে শীত তবুও সকালের প্রকৃতি ছিল কুয়াশায় মোড়ানো। এরই মাঝে স্মৃতি রোমন্থনের মিলনমেলায় যুক্ত হয়েছে শত শত প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের হাসি-আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠেছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের মাঠ প্রাঙ্গণ।
"এসো স্মৃতির প্রাঙ্গণে মিলি প্রীতির বন্দনে" প্রতিপাদ্যে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় দেখা যায় এমন প্রাণবন্ত চিত্র। অনির্বাণ আলোকশিখা ছড়িয়ে যাওয়া এই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই মিলন মেলায় আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নানা পেশায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তবুও মিলনমেলার এই উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দিতে উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ দিন সকাল ১০টা থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে আসা শুরু হয়। পরে এক ঘন্টার মধ্যেই স্কুল প্রাঙ্গণে বন্ধুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে কৈশোরের পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে সকল ক্লান্তি ভুলে বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে কাটানো সময় ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে সবাই ছিলেন ব্যস্ত। স্কুল জীবনের গণ্ডি পার হওয়ার পরে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও স্মৃতিচারণে কাটে মিলনমেলার অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব।
এসময় মিলনমেলার কমিটির সভাপতি আবুল বায়েছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইন্নামিল বুলবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনতা জুট মিলস্ লিমিটেডের জিএম মতিউর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মাসুদ খান।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানান, মিলনমেলার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে একত্রিত হয়ে ভালো লাগলো। মন চায় আবার সেই স্কুল জীবনে ফিরে যেতে। একই সঙ্গে যারা এবার নানা কারণে উপস্থিত থাকতে পারেনি তাদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী পুনর্মিলনী আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
শেষ বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান র্যফেল ড্র এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সফল সমাপ্তি হয় জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :