AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শিক্ষকদের মারধর করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দিলো সেচ্ছাসেবক দল নেতা


Ekushey Sangbad
লালমোহন উপজেলা প্রতিনিধি, ভোলা
০৮:০০ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
শিক্ষকদের মারধর করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দিলো সেচ্ছাসেবক দল নেতা

ভোলার লালমোহনে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন না পেয়ে দুই শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের নেতা ও ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ জুয়েলের বিরুদ্ধে। 

গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে বিদ্যালয়ের মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকের মধ্যে। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সুশিল সামাজের ব্যাক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার লর্ডহার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭২ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওইদিন সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মাঠে উপস্থিত হয়। সকাল ৯টায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে অনুষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে চলছিল। এমন সময় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদ প্রার্থী ও লর্ডহার্সিঞ্জ ইউনিয়ন ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ জুয়েলের নেতৃত্বে ৬/৭ জনের একটি সংবদ্ধ দল মাঠে এসে ক্রীড়া অনুষ্ঠানে কেন তাদেরকে আমন্ত্রণ করা করা হয়নি জানতে চেয়ে বিদ্যালয়ের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেন।

পরে বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও কম্পিউটার অপারেটর রাফেজ হোসেন প্রতিবাদ জানালে তাদেরকে মারধর করেন এবং সকলকে অকথ্য ভাষায় গালন্দ করেন ওই নেতা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খেলা পরিচালনা করছিলাম স্টেজের কাছে আসতেই সবার সামনে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর রাফেজ হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবাদ জানালে আমাদেরকে মারধর করেন এবং সকলকে অকথ্য ভাষায় গালন্দ করেন ঐ নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রকাশ্য-দিবালোকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙিয়ে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় প্রবেশ করে একজন শিক্ষককে এভাবে মারধর করায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। এভাবে শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হতে থাকলে দেশের শিক্ষক সমাজকে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে। দলের সাইনবোর্ড ব্যবহারকারী এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।

তবে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুয়েলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ঘটনা সত্য নয় দাবী করে বলেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মারামারি করছিলো, আমরা ছাড়াতে গিয়েছি। আমি কাউকে মারধর করিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামনে আমাদের একজন সহকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়, যা খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা এটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ এমন কাজ করতে পারে না। তবে যারা স্কুলে গিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে তার কিংবা ভুক্তভোগী বা স্কুল কর্তৃপক্ষ কেউই বিষয়টি জানায়নি। আপনার কাছ থেকে শুনেছি, বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, ঘটনাটি আমি স্যোশাল মিডিয়াতে দেখেছি। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!