মোংলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন জখম হয়েছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের মিয়াপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এলাকায় দুই গ্রপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে শহরের মিয়াপাড়া এলাকায় শহিদুল মোল্লার বাড়ির সামনে আ’লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে হঠাৎ সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষ সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আহতরা হচ্ছে-বিএনপি ও যুবদলের জসিম, মাহাবুব, লিটন, দিলরবা এবং আওয়ামী লীগের শহিদুল মোল্লা, নাঈম মোল্লা, সাদ্দাম মোল্লা এবং তার স্ত্রী পারভীন। আহতদের মধ্যে বিএনপির ৪ জন মোংলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের আহতরা রক্তাক্ত অবস্তায় বাড়ীতে রয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) ভয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে পারছেন না বলে দাবী করেছেন শহিদুল মোল্লার স্বজনরা। প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে আহত বিএনপির কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতা শহীদুল মোল্লার বাড়ীতে এলাকায় নাশকতার উদ্দোশ্যে গোপন মিটিং হচ্ছিল, সেখানে গেলে তারা আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর উপর হামলা করেছে। আর আওয়ামী লীগের আহতরা বলেন, রাতে বাড়ির সামনে বের হলেই প্রথমে শহিদুল মোল্লার উপর হামলা করে। পরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে বিএনপির লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।
এব্যাপারে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নৌসেনারা রয়েছে, যাতে আর কোন অপ্রতিকর কোন ঘটনা না ঘটে। এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি তবে অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :