টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলাতে বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চলিত মৌসুমে কৃষক ধানের দাম ভালো পাওয়ায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস মনে করছে। বর্তমানে সারা দেশের ন্যায় ধনবাড়ী উপজেলায় চলছে বোরো আবাদের মৌসুম। আর বোরো আবাদের কারণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। মাঘ মাসে কুয়াশা ঢাকা শীতের সকাল হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপণের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে বোরো আবাদের ধুম চলছে।
ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনবাড়ী উপজেলায় মৌসুমে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পরেছে কৃষকরা। যদিও গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি রয়েছে এ উপজেলায়। বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষবাদের কাজ চলছে পুরোদমে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা, কোথাও গভীর নলকুপ থেকে চলছে পানি সেচ, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ।
আবার কৃষক নদী থেকে নালা পদ্ধতিতে পানি সংগ্রহ করেছেন। আবার বোরো ধানের রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। কৃষকের ব্যস্ততায় শীত যেন তাদেরকে স্পর্শ করছে না। শরীরে রয়েছে হালকা পোশাক, মাথায় গরম কাপড়। সব মিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজ বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক। কিছু কিছু মাঠে জমির রোপণে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, গত বছরের তুলনায় চলিত বছরে ধানের দাম বেশি হওয়ায় বেশি ভাগ কৃষকরা বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছে। অনেক কৃষক ভুট্টা, সরিষা চাষ না করে বোরো চাষ করছে। এই জন্য ধারণা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি বোরো ধান আবাদ করছে কৃষকরা।
উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কৃষক রশিদ মিয়া বলেন, আমি এ বছর বোরো মৌসুমে ১ পাখি জমিতে ধান চাষ করেছি। আমাদের এ উপজেলায় ধান ভালো হলে প্রতি পাখিতে ৮ থেকে ১০ মণ ধান পাওয়া যাবে।
ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষে এবার কৃষকরা বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এ বছর ধনবাড়ী উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :