বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সাভারের প্রথম শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলনে তার পরিবার বাধা দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মরদেহ উত্তোলনের চেষ্টা করলে পরিবারের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউন মহল্লার কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলনের জন্য যান ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান। এ সময় ফরেনসিক বিভাগের সদস্য, সাভার মডেল থানা পুলিশ, নিহতের স্বজন ও মামলার বাদী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহীদ ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলনের জন্য এলে পরিবারের সদস্যরা ও মামলার বাদী আপত্তি জানান। পরে ইয়ামিনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন নিহতের স্বজনদের মামলার সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রমের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি অবহিত করেন এবং তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে আদালতের নির্দেশ স্থগিত করে ইয়ামিনের মরদেহ উত্তোলন না করে চলে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাকিরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন গনমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের বাধার কারণে মরদেহ উত্তোলন না করেই চলে আসতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান জানান, শহীদ ইসামিনের মরদেহ উত্তোলনের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে আমাকে নিয়োগ করা হয়। সেই আলোকে আমরা সাভারে এসেছি এবং কবরস্থানে গিয়েছি। কবরস্থানে যাওয়ার পরে শহীদ ইয়ামিনের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে অনিচ্ছুক। উনারা আমার কাছে একটি ফরমাল আবেদন দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন, শহীদ ইয়ামিন শহীদী মর্যাদা পেয়েছে বিধায় তারা লাশ উত্তোলনে অনিচ্ছুক। এ বিষয়টি আমরা বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করব এবং পরে আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :