AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তানোরে আলুর গাছে পচন রোগে দিশেহারা চাষিরা


Ekushey Sangbad
সারোয়ার হোসেন, তানোর, রাজশাহী
০৮:২৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
তানোরে আলুর গাছে পচন রোগে দিশেহারা চাষিরা

রাজশাহী জেলার তানোরে হঠাৎ করে আলুর গাছে পচন রোগ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আলু চাষিরা। পচন রোগ রোধে মাঠে পাচ্ছেন না কৃষি অফিসের কোন লোকজনকে। ফলে বাধ্য হয়ে পচন রোগ দূর করতে বালাইনাশক দোকানীর পরামর্শে একের পর এক কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারছেন না পচন রোগ। এতে করে চরম হতাশ হয়ে পড়েছে তানোরের আলু চাষিরা। পচন রোগ রোধ করা না গেলে চরমভাবে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা চাষিদের মধ্যে।

উপজেলার কামারগাঁ, সিধাইড়, যশপুর, নারায়নপুর মাঠে ও তানোর পৌর এলাকার সেন্দুকাই বিস্তীর্ণ আলু খেতে দেখা দিয়েছে এ পচন রোগের ছড়াছড়ি। এছাড়াও যোগীশো মাঠেও প্রচুর পরিমানে ছড়িয়ে পড়েছে পচন রোগের মহামারী। কামারগাঁ ইউনিয়নের শরিফ উদ্দিনের ৭ বিঘা, গৌউরের ৩বিঘা, শাহাদাতের ২৮ কাঠা জমিতে পচন রোগ ধরেছে। কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ে কোন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাচ্ছেন না।

তারা বলেন, তাদের মাঠে প্রায় দুইশ’ বিঘা জমির আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগে আলুগাছ মরে যাচ্ছে। এতে ফলনহানির আশঙ্কায়  দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অথচ কৃষি বিভাগ নির্বিকার রয়েছে। কৃষকদের সচেতন করতে তাদের দৃশ্যমান তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আবার অনুমান নির্ভর হয়ে কৃষকরা বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও গাছ  রক্ষা করতে পারছে না।

সরেজমিনে উপজেলার কামারগাঁ ইউপি‍‍`র মাঠে আলুখেতে দেখা গেছে, অধিকাংশ আলুর গাছে  পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে আলুগাছ পচে (মরে) যাচ্ছে। কৃষকরা অনুমান নির্ভর হয়ে উচ্চ দামে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করে আলুগাছ রক্ষা করতে পারছেন না। যার কারনে চাষীদের পকেট হচ্ছে খালি, অপর দিকে পকেট ভরছে দোকানীদের। 

কামারগাঁ মাঠের আলু চাষি শরিফ উদ্দিন বলেন, এবার তিনি ৭ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন। পচন রোগে ইতিমধ্যে তার আলুখেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

একই মাঠের কৃষক আতাউর বলেন, পচন রোগে আক্রান্ত তার আলুখেতে  বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের (উপসহকারী কর্মকর্তা) মাঠকর্মীদের কোন নাগাল পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে তারা বাধ্য হয়ে অনুমান নির্ভর কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এতে কীটনাশক ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও কপাল পুড়ছে কৃষকের।

চলতি মৌসুমে যে সকল চাষীরা জমি ইজারা নিয়ে আলুচাষ করেছেন তাদের প্রতি বিঘায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার টাকা ও নিজস্ব জমিতে প্রতি বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবারে আলুর লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মে:টন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তার জানা মতে কোথাও আলুগাছে পচন রোগ ধরেনি, আলুর গাছ ভালো অবস্থায় আছে, আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকরা যদি তাদের কাছে পরামর্শ নিতে না আসে তাহলে তো তাদের করণীয় কিছু নাই। তিনি বলেন, তার জানা মতে এখনো তানোরের কোথাও আলুগাছে পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর তার কাছে নাই।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!