ময়মনসিংহের গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রবি আজিয়াটা মোবাইল সিম ব্যবহারের বয়কটের ডাক দিয়েছেন আবুল হাশিমের সন্তানরা। গত বছর ১৮ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফাল্গুনকরা রবি টাওয়ারে ডিউটিরত অবস্থায় নিহত হন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কাউরাট চকবাড়ী গ্রামের আবুল হাশিম। তিনি সেখানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সিকিউরিটি কোম্পানি আইএসএস লিমিটেড কর্তৃক তিনি সেখানে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গৌরীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নিহত আবুল হাশেমের ছেলে মনোয়ার হাসিব মামুন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন- তার বাবা আবুল হাশিম ২০০৩ সাল থেকে সিকিউরিটি কোম্পানি আইএসএস লিমিটেডের মাধ্যমে রবি টাওয়ারে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনারদিন রাতে তিনি সেখানে একাই দায়িত্ব পালন করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, রবি টাওয়ারের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত সদস্যই মূল্যবান মালামাল চুরি করতে আসে, এবং তাদের চিনে ফেলায় নির্মমভাবে আবুল হাশেমকে হত্যা করে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রবি ও আইএসএস কোম্পানি তাদের রক্ষা করতে খুনিদের পক্ষ নেয়। এমনকি নিহত আবুল হাশিমের পরিবারকে কোন সমবেদনা জানায়নি ও যোগাযোগ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের দুই মেয়ে আলিফা সুলতানা হ্যাপি, লতিফা সুলতানা শিপুসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের অসহযোগিতার কারণে প্রকৃত খুনিদের আসামিও করা যায়নি। সম্প্রতি কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ফাল্গুনকরা টাওয়ারের ইনচার্জ নুরুল্লাহ, সাবেক ইনচার্জ আনিস, জেনারেটার অপারেটর সুমন, আইএসএস লিমিটেড কোম্পানির সুপারভাইজার আনোয়ার ও ফাল্গুনকরা রবি টাওয়ারের অপর সিকিউরিটি গার্ড সফিউরকে সম্পূরক আসামি করা হলেও কিন্তু অদ্যবদি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।
এব্যাপারে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন আহমেদ এ থানায় সদ্য যোগদানের বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন- মামলাটি ক্লুলেস থাকার কারণে খুনিদের গ্রেফতার করা যায়নি, তবে পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে পিটিশনকৃত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :