AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষকে শোকজ


Ekushey Sangbad
বদলগাছী প্রতিনিধি, নওগাঁ
০১:৪৮ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষকে শোকজ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ধর্মপুর গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেনকে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকা ও এক শিক্ষকের কাছে থেকে অর্থ গ্রহণ ও মাদ্রাসার ফান্ড সমূহ শূণ্য Ciao অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। 

জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কতৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আপনি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত করাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। পাশাপাশি আপনি অত্র মাদ্‌রাসার সহকারী শিক্ষক মোছা. শারমীন আক্তারের কাছে থেকে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা সরকারি  কোষাগারে ফেরৎ প্রদানের কথা বলে গ্রহণ করেছেন, যার রশিদ কিংবা ট্রেজারী চালান তাকে কিংবা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জমা দেননি, যা আত্মসাতের শামিল। উপরোন্ত আপনি মাদ্‌রাসার ব্যাংক হিসাব থেকে গত বছরের ১০ জুলাই ৭০ হাজার টাকা এবং ৮ আগস্ট ৭৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে মাদ্‌রাসার তহবিল শূণ্য করেছেন যার সঠিক হিসাব এখনো উপস্থাপন করেন নাই এবং গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবধি অননুমোদিত ভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধিগত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা মর্মে সন্তোষজনক জবাব পত্র প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হলো।

জানতে চাইলে ওই মাদ্‌রাসার সহকারী শিক্ষক মোছা. শারমীন আক্তার বলেন, আমি চাকরিতে যোগদান করার পর মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাই। সেই সময় সরকারি বিধিমতে বেতনভাতাদি পাই। ছুটি শেষে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর অধ্যক্ষ আমাকে বলেন আমি ওই সময়ের বেতনভাতাদি কিছুই পাবো না। সেই সময়ে উত্তোলনকৃত সকল টাকা অধ্যক্ষের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে বলে আমাকে চাপ দেয়। আমি না জানার কারণে তাকে সেই টাকা গুলো দিই। এরপর আমি টাকা ফেরতের রশীদ চাইলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন এবং এই পর্যন্ত তিনি আমাকে টাকার রশীদ বা টাকা ফেরত দেননি।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও নাম্বার বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে বিনা অনুমতিতে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় এবং অর্থ আত্মসাৎ করা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে গতকালের মিটিংয়ে তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে মোতাবেক আজ পোস্ট অফিস মাধ্যমে তার কাছে শোকজের চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!