বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়।
৫ আগষ্টের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি মোসাম্মৎ ছাবিনা আক্তার (৩৪), স্বামী: আব্দুল্লা আল মামুন, সাং বরাবর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ১/শেখ হাসিনা (৮০), পিতা: মৃত শেখ মুজিবুর রহমান কে প্রধান আসামি করে ৬৭জনের নামে এবং আরো অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। এই মামলায় (১৩) নং আসামি করা হয়,আওয়ামী লীগ নেতা, আনোয়ার হোসেন (২৮), পিতা: মৃত শাহজাহান, সাং বালিয়াকান্দি ডাকঘর কই, পোস্ট: বীজ বাগ, সোনাবাগ, নোয়াখালী (বর্তমান ঠিকানা), মাসাব, রুপগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জসহ মামলায় উল্লেখ্য করা হয় যে, বাদীনির স্বামী মৃত আব্দুল্লাহ আল মামুন রুপগঞ্জ থানার খালপাড় বরাব গ্রামে অবস্থিত ম্যাক সোয়েটার নামক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
প্রতিদিনের ন্যায় ঐদিনও তিনি কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একমত প্রকাশ করেন। দাবি আদায়ের মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থান কালিন সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্দেশে অন্যান্য সকল এজাহার আসামিগনের উপস্থিতি ছাত্রদের উপর দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রিভালবার, সেমি অটোমেটিক মেশিনগান, শর্ট গান, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, গ্রেনেড বোমাসহ আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়া গুলিবর্ষণ করিতে থাকে। এই সময় আহতদের উদ্ধারকাজে আমার স্বামী চেষ্টা করলে। তাহার তলপেট সহ শরিরে গুলি বৃদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তী তাকে উদ্ধার করিয়া স্যার সলিমুল্লা মেডিক্যাল কলেজে নিয়া গেলে,তিনি ৬/০৮/২০২৪ ইং তারিখে ৪:৩০ মৃত্যুবরণ করেন।
মামলার বাদীনির প্রশ্ন, হত্যা মামলার আসামি, স্বৈরাচারী সরকারের দোষর, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন প্রশাসনের সামনে কিভাবে প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত আমার স্বামীর খুনিদের কেনো প্রশাসন আটক করেছেন না, তাদের বিচার কি হবে না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :