মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ সরিষার ফুলে ছেয়ে গেছে। চির সবুজের বুকে যেন কাঁচা হলুদের আলপনা। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে এখন মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত। সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসি।
কৃষকরা ভোজ্যতেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে তাদের ধানের জমির ফসল কাটা-মাড়াই করে বারি উদ্ভাবিত উফশীজাতের সরিষা বীজ মাঠে বুনছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিবচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চারপাশে শুধু সরিষা ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠগুলো। বহেরাতলা, কুতুবপুর, কাদিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শিবচরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সরিষার চাষ। সরিষা চাষ করে অনেক কৃষকের ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর । গত অর্থবছরে ৪ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা ও সরিষার তেলের উচ্চমূল্যের কারণে এ বছর কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
শিবচর উপজেলার শিকদার কান্দি গ্রামের কৃষক বদল মিয়া (৩৮) জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে গত বছর সাড়ে সাত হাজার টাকা লাভ করেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন এবং বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
চরজানাজাত এলাকার আরেক কৃষক আবুল হাসেম জানান, এবার সরিষার ফলন ভালো হচ্ছে। এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। শুধু আমাদের নয়, চারিদিকের ফলনও ভালো হয়েছে এবার। তবে একটু দাম পেলে এবার ভালো লাভ হবে।
সরিষা ক্ষেত ঘুরতে এসে শিক্ষার্থী সারা আক্তার বলেন, খুব ভালো লাগছে। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। গত বছর বেড়াতে এসেছিলাম। গতবারের চেয়ে এবার একটু ভালো লাগলো।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার সরিষার চারা ভালোভাবে বেড়ে উঠছে, এ মৌসুমে তৈলবীজের বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষকদের বেশি লাভ হবে। চলতি বছরে উপজেলায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :