গতকাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ ছাত্রদলের ভাইয়েরা সেই ছাত্রলীগের গুন্ডালীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ছাত্রদল বিগত ১৫ বছর ক্যাম্পাস গুলোতে আপনাদের কার্যক্রম চালাতে পারেন নাই শুধু ছাত্রলীগের কারণে। আপনারা ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে এ দেশের ছাত্র সমাজ আপনাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণহত্যায় জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি আরও বলেন,আপনারা দেখেছেন গতকাল জুলাই গণহত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামি কে ট্রাইবুনালে তোলা হয়েছিলো।তাদের চেহারা দেখে মনে হয়েছে কারাগারে তাদেরকে জামাই আদরে রাখা হয়েছে।অথচ আওয়ামী লীগের আমলে দেখেছি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের আদালতে তোলার সময় কাউকে হুইলচেয়ার, কাউকে পুলিশের কাঁধে ভর করে আদালতে আনা হতো। অথচ আওয়ামী লীগের নেতাদের জামাই আদরে আদালতে তোলা হয়। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকারের কাছে আমাদের আহবান দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু কি স্বাভাবিক নাকি পরিকল্পিত হত্যা সেটা তদন্ত করার জন্য। একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানাই।
বক্তব্য আবু হানিফ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাইয়ে যে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের আর এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের বিষয়ে সরকারের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সরকারের প্রতি আমাদের আহবান আইন করে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। আওয়ামীলীগের যারা দোসর ছিলো তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সরকার যদি গণহত্যার বিচারে তৎপর না হয় তাহলে জণগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
বক্তব্য তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি। সেই জাতীয় পার্টির এক নেতার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। গত কয়েক দিন আগে তার বিদেশে সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অনতিবিলম্বে তাকে আটক করা হোক। এই কিশোরগঞ্জে পুলেরঘাটের চিনিকলের সরকারি মালামাল বিক্রি করার জন্য একটা চক্র কাজ করছে। তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি, আপনারা সরকারি মালামাল অন্যায় ভাবে বিক্রি করতে পারেন না। আওয়ামী লীগ দেশে যেভাবে চাঁদাবাজি দখলদারি করেছিলো, তারা পালিয়ে গেলেও তাদের সেই চাঁদাবাজি ও দখলদারি অন্য একটা দল চালাচ্ছে। তারা নিজেদেরকে নব্য ফ্যাসিস্ট হিসেবে আবির্ভাব করছে। আওয়ামী লীগের অবৈধ সকল ব্যবসার হাল ধরেছে অন্য একটি দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের পতন থেকে আপনাদের শিক্ষা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের মত যারা চাঁদাবাজি দখলদারি করছেন তাদের পরিণতিও আওয়ামি লীগের মত হবে।
গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল, যুগ্ম আহবায়ক অভি চৌধুরী, সদর উপজেলার সদস্য সচিব আল মাহমুদ মোস্তফা, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমজান মিয়া, ছাত্র নেতা পায়েল চৌধুরী, রিপন রাজ প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :