বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করুন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। যারা সংস্কারের নামে বছর পর বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাদেরকে আমরা হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই। সঙ্কট থেকে উত্তরণে জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র পথ। নো স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের থানা রোডে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান রিপন একথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য উর্দ্ধগতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেফতার দাবিতে দেশব্যাপী দশদিনের গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারা খুবই তৎপর। গত মঙ্গলবার খুলনায় একটি ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই খুলনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই নির্বাচন হয়। এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন একটি ভাল নির্বাচনের জন্য ১৮ মাসই যথেষ্ট। সেনা বাহিনী আমাদের গণঅভ্যুত্থানের সহযোগী। আমরা চাই তার এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করুক সরকার।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা দলের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, আতাউর রশীদ বাচ্চু, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও জুলফিকার হোসেন জুয়েল।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :