মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট থেকে শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে উঠে পদ্মার চরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। পরে এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. জামাল মোল্লা (২৩), জব্বার শেখ (১৮) ও ইয়ামিন মুন্সী (১৯)।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।অভিযুক্ত তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং আলামত হিসাবে একটি জিও ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত জামাকাপড় জব্দ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ (২২) তার শ্বশুর বাড়ী শিবচর উপজেলার উত্তর চরজানাজাত যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক (২২) ও জামাল মোল্লা ভিকটিমকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠায়।পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন এবং জব্বার ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে নদীপথে নির্জনতার সুযোগে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে চারজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে ভিকটিমকে ট্রলার থেকে নামিয়ে দেয় এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, গত রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারী) ভিকটিম জনৈক গৃহবধূ (২২) তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে চারজন যুবক কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে। এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি মামলা রুজু করা হয় এবং আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ।পরে ঐদিন রাতেই পুলিশ পদ্মা সেতু উত্তর থানা এলাকার যশলদিয়া ও কবুতরখোলা পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বার ও ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও পলাতক আসামী গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :