AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দর্জি শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী : গোলাম রব্বানী


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা
০৮:০৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
দর্জি শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী : গোলাম রব্বানী

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী বলেছেন, দেশে বিভিন্ন পেশার শ্রমিকদের মধ্যে দর্জি শ্রমিকরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত কারণে তারা অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় মজুরি-সুযোগ সুবিধাগত দিক থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে।

তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ-এর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাবানা আক্তারসহ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

গোলাম রব্বানী বলেন, দেশের প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা এখন সময়ের দাবি। মজুরি বোর্ড ছাড়া মালিকের মর্জিমত বেতন কাঠামো দিয়ে শ্রমিকের জীবনে পরিবর্তন আসবে না। আমি অবিলম্বে দর্জি শ্রমিকসহ যে সব সেক্টরের এখনো মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়নি সে সব সেক্টরে মজুরি বোর্ড গঠন করার জন্য অন্তবর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি আরও দাবি করছি, সকল সেক্টরের মজুরি বোর্ড নতুন করে গঠন করার জন্য। পতিত স্বৈরাচার সরকার কিছু অসাধু মালিকদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছিল। যার ফলে এসব মালিকদের ইশারায় শ্রমিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে তাদের মর্জিমত ন্যূনতম মজুরি প্রদান করেছিল।  

তিনি বলেন, শ্রমিকরা ঐ মজুরি দিয়ে দুবেলা ঠিকমত খেতে পারে না। যে দেশে শ্রমিক না খেয়ে দিনযাপন করে সে দেশের উন্নতি হয় কী করে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন প্রকৃত উন্নয়ন নয়। মাথাপিছু আয় বাড়লে শ্রমিকের ঘরে খাবার থাকে না কেন? কেন ঈদ ও উৎসবে শ্রমিকের সন্তানের গায়ে নতুন পোশাক থাকে না? শ্রমিকের ঘরে একপদ ভালো খাবার জুটে না।

গোলাম রব্বানী বলেন, এসব কাগজের কলমের উন্নয়নের গল্প আমরা শুনতে চাই না। আমরা দেখতে চাই দিনরাত পরিশ্রম করা শ্রমিক তার মজুরি দিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করছে। আমরা দেখতে চাই না শ্রমিকরা কারো উপর নির্ভরশীল থাকুক। তারা তাদের পরিশ্রমে স্বাবলম্বী হবে। আমরা একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই।

সাধারণ সভায় প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে
১। দর্জি সেক্টরের সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিসবুক দিতে হবে।
২। দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৩। বে-আইনি ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে।
৪। প্রতি মাসের বেতন/মজুরি প্রতি মাসেই পরিশোধ করতে হবে।
৫। মজুরি বোর্ড গঠনসহ শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে।
৬। উৎসব বোনাস ও ঈদ বোনাস প্রদান করতে হবে।
৭।  শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য নিরাপত্তা তহবিল গঠন করতে হবে।
৮। কারখানার স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

একুশে সংবাদ// এ.জে

Link copied!