খুলনার কয়রায় কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে ৬২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে উপজেলার ঘড়িলাল গ্রামসংলগ্ন কপোতাক্ষ নদে অভিযান চালিয়ে এই মাংস উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের সময় চোরা শিকারিরা মাংস ফেলে পালিয়ে যায়, ফলে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা কপোতাক্ষ নদ ধরে ঘড়িলাল গ্রামের কাছে পৌঁছানোর পর ভোরের আলোয় একটি নৌকা দেখতে পাই। নৌকায় দু’জন বইঠা বাইছিল। আমাদের ট্রলারটি কাছে পৌঁছানোর আগেই তারা নদীতে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত নৌকা তল্লাশি করে ভেতরে বরফ দেওয়া অবস্থায় ৬২ কেজি হরিণের মাংস পাওয়া যায়। নৌকাটিও জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে এবং উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস আদালতের নির্দেশে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হবে।
সুন্দরবন-সংলগ্ন কয়রা এলাকায় চোরা শিকারিদের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই এলাকায় ৩০টিরও বেশি চোরা শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত শুধু কয়রা থেকেই ২০৪ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের ছেড়ারখাল এলাকা থেকে ৯০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। তবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ও চোরাচালানকারীদের চালাকির কারণে তাদের দমন করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :