AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে যেন স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে না যায় -তারেক রহমান


তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে যেন স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে না যায় -তারেক রহমান

খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তর্ক-বিতর্কের সময় এমন কিছু যেন না হয়, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের অকল্যাণকামীরা সুযোগ পেয়ে যায়। তিনি সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।  


সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার নিয়ে যদি আমরা অযাচিত আলোচনা করতে থাকি, তাহলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যাগুলো আড়াল হয়ে যেতে পারে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।"  


তারেক রহমান আরও বলেন, "একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে, বিশেষ করে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সকলকে অব্যাহতভাবে চেষ্টা করতে হবে যাতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে খাদের কিনার থেকে তুলে আনতে সক্ষম হব।"  


তিনি দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, "আজ আমরা দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা করছি। দলকে গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের হাজারো নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আমরা থেমে নেই, প্রতিনিয়ত আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।"  


তারেক রহমান বলেন, "দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করলে দলের ভিত্তি শক্তিশালী হবে। দল পরিচালনার দায়িত্ব সঠিক ব্যক্তিদের কাছে ফিরে গেলে দল সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে। একইভাবে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও ভোটের চর্চা করলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কথা বলবে, দেশের সমস্যার সমাধান করবে।"  


তিনি অতীতের ঘটনাবলির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "আমরা দেখেছি কীভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, কীভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে আমরা দেখেছি কীভাবে নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে। ১৪০০ মানুষ শহীদ হয়েছেন আজকের এই মুক্ত পরিবেশ উপহার দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের থেমে থাকলে চলবে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।"  


দেশের স্থিতিশীলতা আনতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই কাজগুলো যদি না করি, তাহলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না।"  


স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, "দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করে দেশ থেকে পালিয়ে যাবে। তার সেই কথা আজ সত্য হয়েছে। স্বৈরাচার লুটপাট করে পালিয়ে গেছে, দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।"  


তিনি আরও বলেন, "সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু সংস্কার নিয়ে অবান্তর আলোচনা করতে থাকলে দেশের মানুষের মূল সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের মূল কাজ হলো মানুষের সমস্যা সমাধান করা।"  


বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে কী কী করা হবে তা উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।  


সম্মেলনে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। নেতাকর্মীরাও হাত উঠিয়ে ধানের শীষে ভোটের প্রতিশ্রুতি দেন।  


সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, বিএনপি‍‍`র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল,  প্রমুখ।  


সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পড়ে শোনান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।  


দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে লড়েছেন ১২ জন প্রার্থী। ভোটার রয়েছেন ৫০৫ জন।  


খুলনা মহানগর বিএনপির শেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি।  


সম্মেলনে বিএনপি‍‍`র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, "আগামীর প্রজন্মের আহবায়ক তারেক রহমানের আদর্শের রাজনীতি বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে আমরা এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।"


বিকালে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা রঙবেরঙের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও প্লাকার্ড হাতে মিছিল সহকারে উপস্থিত হন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!