AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সদরপুরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল


সদরপুরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

রোজা শুরু হয়েছে। ভোজ্য তেল সয়াবিন সংকটে রয়েছে বাজার। এক দোকান থেকে আরেক দোকান ছুটছেন ক্রেতারা। তবুও মিলছে না সহজেই তেল। রোজায় ভোজ্য তেলের চাহিদা বেশী থাকায় ডিলারের কারসাজিতে সংকটে রয়েছে পুরো বাজার। যে কারনে ক্রেতার চাহিদাকে পুজি করে স্থানীয় ভোজ্য তেলের ডিলার বাজার সংকট তৈরি দাম হাঁকিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা এমন অভিযোগ করছেন ভোজ্য তেলের দোকানীরা। নিত্যদিনের খাবারের পাশাপাশি এখন রমযানে পিয়াজু, আলু, বেগুনসহ বিভিন্ন চপ তৈরিতে লাগছে সয়াবিন তেল।

 
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদরপুর বাজারসহ প্রান্তিক হাট বাজারের মুদিদোকান থেকে এখন উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাজারের কয়েক দোকান ঘুরলেও মিলছে না এক লিটারের বোতল। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। সব মিলে রমজানে বড় সংকট দেখা দিয়েছে এখন সয়াবিন তেলের বাজার। বাজার তদারকির জন্যও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো মনিটরিং থাকায় সুযোগে লুফে নিচ্ছেন মুনাফা অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের দোকানীদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রতি দোকানে সয়াবিন তেল থাকলেও প্রকাশ্যে না রেখে গোপনে রাখা হচ্ছে। কেহ খালি তেল বিক্রি করছে না। এক লিটার তেলের সাথে ক্রেতাদের নিতে হচ্ছে জোড় পূর্বক চাল,ডাল,ছোলাসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী। তা’নাহলে বিক্রি করা হচ্ছে না তেল।

সদরপুর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানীদের ভাষ্য, আমরা কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছ থেকে তেল চেয়েও পাচ্ছি না। ১২ পিচের এক লিটারের এক কাটন তেল চাইলে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে কোম্পানীর অন্য মালামাল নিতে। বাধ্য হয়ে তাদের নিকট থেকে আমাদের চাহিদা না থাকা পন্যও ক্রয় করতে হচ্ছে। এর জন্য আমরা অন্য মাল বিক্রি করতে পারছি না রমযানে। সয়াবিন তেল বিক্রিতে আমরা কিছুটা বেশী নিচ্ছি কারন আমাদের অন্য মাল দোকানে পড়ে থাকছে। তবে স্থানীয় ডিলাররা আমাদের তেল দিলে রমযানে বাজার সংকট দেখা দিতো না। তাদের দাবী ডিলাররা তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশী ফায়দা লুটছেন।

সদরপুর বাজারে আসা ক্রেতা মোঃ হান্নান মিয়ার অভিযোগ, এক লিটার তেল ১৫ থেকে ২০টাকা বিশ টাকা বেশি নিচ্ছে। বোতলের গায়ে লেখা আছে ১৭৫টাকা টাকা। কয়েক দোকান ঘোরার পর কোনো কোনো দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিলে তেল আছে,টাকা টাকা দিলে সাফ বলছে নাই। দেশটা তো মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। অকে সময় দোকানদার ক্রেতার মুখ দেখে হ্যা-না করে।
আরেক ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম ক্ষোভের স্বরে বলেন, প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তারা বাজার তদারকি করছে না। যে কারনে দোকানীরা যেভাবে পারছে সে ভাইবেই দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং করা হলে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে উধাও হতো না। ডিলারের সিন্ডিকেটে আমরা এখন জিম্মি। ওই ক্রেতার প্রশ্ন, এই সিন্ডিকেট ভাঙবে কে? তিনি আরও অভিযোগ, যেখানে সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতল ৮৫০ টাকা হওয়ার কথা, সেখানে দোকানিরা দাম চাইছেন ৯২০ টাকা। বাজার ভেদে এই দাম কোথাও কোথাও বেশি। আবার এসব তেলের গায়ের নির্ধারিত দামও মুছে দেওয়া হচ্ছে।

সদরপুর উপজেলার অন্যান্য বাজার গুলো ঘুরেও দেখা যায়, কয়েক দোকার ঘুরেও খালি তেল মিলছে না। অনেক দোকানে পাওয়া গেলেও লিটার প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশী। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে মূল্য লেখা নেই। বিক্রেতারা মুছে লিটার ১৯৫ টাকা চাইছেন। যার সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা। তবে এ বাজারগুলোয় খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। খোলা লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২শ টাকা করে। কিন্তু খোলা সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৫৭ টাকা।

সদরপুর বাজারের মুদি দোকানী সেকেন্দার বেপারীবলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডিলারের কাছে তেল চেয়েও পাচ্ছি না। রোজার আগে বাজারে মানুষের কেনাকাটা বেশী হয়ে থাকে। এ সময় কোম্পানিগুলো তেল দেওয়া বন্ধ করেছে। এতে বাজারে কোনো বোতলজাত তেল নেই। নতুন করে দাম বাড়াতেই কোম্পানিগুলো এমন করছে।

বাজার তদারকি প্রসঙ্গে দেখা যায়, রমযান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলেরকোনো কর্মকর্তারা ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এর ও কোনো লোকজন বাজার তদারকিতে আসছে না। যে কারনে একি দকে সয়াবিন তেলের সংকট অন্যদিকে খোলা বাজারে যে সয়াবিন হিসেবে সুপার পাম তেল বিক্রি হচ্ছে তাও কতটুকু পরিশুদ্ধ বা ভেজার সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর মিলছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার প্রতিনিধিরা বলেন, ‘তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি কয়েক মাস ধরে রয়েছে। এটা কাটতে শুরু হয়েছে। তেলের সংকট কৃত্রিম সংকট প্রসঙ্গে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি নন।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী, বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলারদের গোডাউন বা বাজারের মুদি ব্যবসায়ীদের দোকান ও গোডাউন তল্লাশি করলে অনেক কিছু বের হবে কৃত্রিম সংকটের।

এ প্রসঙ্গে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা জানান, রমযান শুরু হয়েছে। বাজারে তেলের দাম বেশী নেওয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পারছি। দ্রুত বাজার মনিটরিং করা হবে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!