সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আর প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র স্হাপন করেছে সরকার। তবে ১২টি ইউনিয়নে কয়েকলক্ষ মানুষ বসাবস করে। তার মধ্যে খলিষখালী ইউনিয়নে প্রায় ৩৫ হাজার লোক বসাবস করে। তাদের জন্য এই একটি মাত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যান কেন্দ্র। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই কেন্দ্রটি এখন নিজেই রুগিতে পরিনত হয়েছে। যার কারনে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচেছ।
সরজমিন তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র বাদে অধিকাংশই জরাজীর্ণ ও পরিত্যাক্ত ভবনের মধ্যেই চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। তার মধ্যে উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি উল্লেখযোগ্য । যা ছবিতে দেখা যাচেছ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির কি চিত্র।
দীর্ঘ ৭/৮ বছর পূর্বে এই কেন্দ্রটি সরকার পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। যা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মন্ত্রণালয় কে চিঠ দিয়ে অবগত করেছেন বলে তিনি এ প্রতিনিধি কে জানান।
এ দিকে অত্র ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যে কোন মুহূর্তে উক্ত ভবনের ছাদ ধসে বড় ধরনের দুরঘটনা আশংকা রয়েছে। তার পরে ও উক্ত ইউনিয়নের স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের তোয়াক্কা না ঐ পরিত্যাক্ত ভবনেই চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে খলিষখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এফ ডব্লিউ ভি সুফিয়া খাতুন এ প্রতিবেদক কে জানান ভাই কি করব জীবনের ঝুকি নিযে কাজ করছি। তিনি জানান ভবন তো সরকার পরিত্যাক্ত ঘোষনা করছে দীর্ঘ ৭/৮ বছর আগে। এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। সরকার যখন করে তখন হবে তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি জানেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রওশোনারা জামান এ প্রতিবেদক কে জানান এই ভবনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তালিকায় আছে। তবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারনে একটু দেরি হচেছ। তবে খুব শ্রিঘ্রই হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :