পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ রেঞ্জের সোনারচর সংরক্ষিত বন থেকে মহিষ চুরির অভিযোগে এক যুবদল নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) রাতে রাঙ্গাবালী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। বন বিভাগের সোনারচর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় উল্লেখিত আসামিরা হলেন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামের ইস্রাফিল সিকদার (৩২), কাইয়ুম সিকদার (৩৭), কামাল সিকদার (৫০), আমজাদ মল্লিক (৩৫), মোহাম্মদ খা (৩৫), কাওসার খান (৩২), মামুন খা (২৪), ইদ্রিস (৬৫), বাদল প্যাদা (৩৬), জাহেদ সিকদার (৪৫) ও বাবুল হাওলাদার (৪২)। আসামিদের মধ্যে কামাল সিকদার চরআন্ডা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। পুলিশ জানায়, এ মামলার প্রধান আসামি ইস্রাফিলকে চোরাই মহিষের মাংস ও চামড়াসহ আটক করে মঙ্গলবার সকালে গলাচিপা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সোনারচরের সংরক্ষিত বনে বন বিভাগের মালিকানাধীন প্রায় চার থেকে পাঁচ শ’ মহিষ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা বনের মধ্য থেকে মহিষ পাচারের পায়তারা করছে। আসামি কাইয়ুম সিকদারের ট্রলার দিয়ে অন্যান্য আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা একাধিক মহিষ চুরি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছে বলে তথ্য রয়েছে। আসামিরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য বলে পরিচিত।
এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকালে সোনাচরের বন থেকে একটি মহিষ চুরি করে এই চক্রটি। পরে আসামি কাইয়ুম সিকদারের ট্রলারে করে মহিষটি প্রধান আসামি ইস্রাফিলের বাড়িতে নিয়ে জবাই করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে অবশিষ্ট মাংস বিক্রি করে। এমন খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান চালালে প্রধান আসামি ইস্রাফিলের বাড়ি থেকে চুরি হওয়া বন্য মহিষের চার কেজি মাংস ও তিন কেজি ওজনের টুকরো টুকরো পশম ছাড়ানো চামড়া উদ্ধার করা হয়। এসময় হাতেনাতে ইস্রাফিলকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারৎ হোসেন বলেন, চোরাই মহিষের মাংস ও চামড়াসহ ইস্রাফিলকে আটক করা হয়। তাকে বন বিভাগের দেওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :