কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সুনামের সাথে কারিগরি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। শিক্ষা জীবনের ঝড়ে পড়া তরুন-তরুনীদের ১২টি ট্রেডে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও চরাঞ্চলের বেকার যুবক-যুবতীরাও প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে এই কলেজটির কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেই থেকে পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলের সন্তানদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে তুলে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ট্রেডের শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েদেরও কারিগরি জ্ঞান দিতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে। সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো উক্ত প্রতিষ্ঠানটি অনগ্রসর চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষ জনবল তৈরী করায় ২০২২ সালে কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় ৭৫টি প্রতিষ্ঠানকে পিছনে শ্রেষ্ঠ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে। এছাড়াও অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীর ২০২২,২০২৩ এবং ২০২৪ খ্রিঃ টানা তিনবার জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান (কারিগরি) নির্বাচন হোন। এই কলেজে বর্তমানে ৮০০ অধিক শিক্ষার্থী এবং ৩৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকলেও শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেনীকক্ষ না থাকায় গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভালো। কিন্তু ভবন না থাকায় খুব কষ্ট করে পাঠ গ্রহণ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই ভবন নির্মানের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বৈষম্যের স্বীকার। অত্র প্রতিষ্ঠানে বিগত সরকারের আমলে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ভবন সংকটসহ বর্তমানে নানা প্রতিকুলতার বিরাজমান। এক্ষেত্রে সরকারী সহায়তা পেলে এ সংকট উত্তরণ সহজ হবে। কলেজে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। একটি ভবন করে দিলে প্রতিষ্ঠানটি খুবই উপকৃত হবে।
একাডেমিক ভবন সংকট, প্রয়োজনীয় শিক্ষাউপকরণ এবং গাইড ওয়ালসহ সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :