চট্টগ্রামে প্রিন্ট, স্যাটেলাইট ও অনলাইনে কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী। বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান।
ফেডারেশনের নগর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নূরুল আমীন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসহাক, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ, বিশিষ্ট লেখক ও আলেমে দ্বীন অধ্যাপক লিয়াকত আখতার সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও ইন্টারন্যাশনাল প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মঈনুদ্দীন কাদের শওকত, প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সাবেক সদস্য সচিব গোলাম মাওলা মুরাদ ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নাঈমসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফুর রহমান জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেন। দেশ ও জাতিগঠনে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি শ্রমিকদের অধিকারের বিভিন্ন দিক এবং শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সৃজনশীল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট পতনোত্তর সময়ে একটি সমৃদ্ধ, শ্রমিকবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক দেশ গড়ার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। সেই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই সময়ের দাবি। কিন্তু বিভিন্ন শ্রম সেক্টরে ঘাপটি মেরে থাকা পতিত স্বৈরাচারের দোসররা সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত করছে। সে সকল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও শ্রমিক নিপীড়করা এখনও বিভিন্ন পদে বসে থাকায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শ্রম অসন্তোষ দূরীকরণে অবিলম্বে এসকল দুর্নীতিবাজ ও শ্রমিকনিপীড়কদের অপসারণ করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর, ই-ইপিজেড, সি-ইপিজেড, রেলওয়ে, বিপিসি, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, শিল্পকারখানা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান-সহ সকল শ্রমসেক্টর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিদায় করতে হবে। মেধা, দক্ষতা ও সততাকে মূল্যায়ন করে শূন্যপদে নিয়োগ দিতে হবে। মেধা, দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতেই পদোন্নতি দিতে হবে। শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিরাপদ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে।
রমজানের শুরু থেকেই মানুষ ঈদের প্রস্তুতি শুরু করে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনার মাধ্যমে ঈদের আমেজ শুরু হয়। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ না করার কারণে শ্রমিক-পরিবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, সকল সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, চলতি বেতন ও ঈদ বোনাস ২০ রমজানের মধ্যে আদায় করতে হবে।
ইফতার মাহফিলে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের সভাপতি ইউসুফ বিন আবুবকর, মহানগরী সহ-সভাপতি নাজির হোসেন ও মকবুল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাবউল্লাহ ও অধ্যক্ষ এম আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক স. ম. শামীম, প্রচার সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার, প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা ইমরান শিকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :