নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষকালে গুলিবর্ষণের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীরসহ তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত আদমজী এলাকায় সংঘর্ষে চলেছে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তথ্য নিয়ে জানা যায়,আদমজী ইপিজেড এলাকার ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এবং রুহুল আমিন নামক এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে দুপুরে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরেই সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এরই জের ধরে পরবর্তীতে বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময়ে তোফাজ্জল হোসেন নামক স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হোন এবং এক গণমাধ্যম কর্মীর মোটরসাইকেলসহ মোট ৩ টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাহেব সভাপতি সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন,পূর্বশত্রুতার জেরে বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মতি মিয়ার লোক রুহুল, সাজ্জাদ, বাবু, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ ৪-৫জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরান থানার সামনে ৩-৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে আহত করেন। পাশাপাশি আমার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। বর্তমানে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃশাহীনুর আলম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলে, ওই পরিস্থিতিতে কাউকে আটক করা সম্ভব ছিল না।
একুশে সংবাদ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :