গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিসের প্রধান ফটকের প্রবেশপথেই শোভা পাচ্ছে মনকাঁড়ানো অপরূপ সৌন্দর্যের হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমাহার। হলুদে হলুদে প্রস্ফুটিত সূর্যমুখীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মৌমাছি-প্রজাপতি যেমন ছুটে আসছে, তেমনি বিমোহিত হচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।
ফুল কে না ভালবাসে। ফুলের সেই ভালবাসায় সিক্ত হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ব্যক্তি উদ্যোগে অফিসের আশপাশের পতিত ও আগাছাপূর্ণ ঝোঁপ জঙ্গল পরিষ্কার করে সেখানে রোপন করেন সুর্যমুখী ফুল। এছাড়া তিনি প্রকৃতিকে সাজাতে বছর জুড়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অফিসের সামনে ও আশেপাশে পতিত ফাঁকা জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফুল রোপণের উদ্যোগ নেন এই কর্মকর্তা।

সেই উদ্যোগ থেকেই তার পৃষ্টপোষকতায় এ বছর প্রথম সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে সেখানে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন,গত বছর এ স্থানের কিছু অংশ হাইব্রিড জাতের নেপিয়ার চাষ করা হয়েছিলো। এবারই প্রথম সূর্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। তাতে ভালো ফুল ফুটেছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি জায়গাজুড়ে সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হবে।
প্রকৃতির ছোঁয়ায় ছড়িয়ে পড়ার হূদয় জুড়ানো সবুজ পাতার আড়ালে সূর্যমুখীর হাসি প্রকৃতি প্রেমিকদের অকৃত্রিম ভালবাসা যেন উজাড় করে কাছে টানছে । অনেকেই সূর্যমুখী ফুলের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন, কেউবা ছবি তুলছেন। আবার কেউ কেউ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে দিনভোর ভীড় জমাচ্ছেন।
গতকাল (৬ মার্চ) মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ইটপাথরে গড়া ভবনের সামনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে বাহারি এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান। হৃদয়কাঁড়া ফুলের মন মাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই।

উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিস বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মশিউর রহমান, জালাল উদ্দীন, তপন কুমারসহ অনেকে বলেন, এখানে এসে ফুলের স্নিগ্ধতায় খুবই ভালো লাগছে, পরিবেশটাও খুবই নিরিবলি। এমন একটি ফুলের বাগানে ঘুরতে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।
ইট-পাথরের দালানকোঠার পাশে এমন নয়ন জুড়ানো পরিবেশ যে কারো নজর কাঁড়তে পারে।
কৃষি অফিসার মতিউল আলম জানান, উপজেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। প্রানি সম্পদের এই বাগানটি এখন সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জসিম উদ্দিন , উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী জানান, বাগানটির কারণে একটি দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বাগানটি দেখতে প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষ এখানে আসছে। আগামীতে আরও বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :