মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নেওয়াজ শরীফ। তিনি বদলি হওয়ার পরে আরও তিনজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসেন। অথচ, দপ্তরের ওয়েবসাইটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে এখনো উল্লেখ রয়েছে নেওয়াজ শরীফের নাম। দেওয়া আছে তার ইমেইল ও মোবাইল নম্বর।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতো হরিরামপুর উপজেলার বেশিরভাগ সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইটগুলোতে হালনাগাদ তথ্য নেই। দীর্ঘদিন ওয়েবসাইটগুলো হালনাগাদ না করায় জরুরি অনেক তথ্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সচেতন মানুষেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় তথ্য বাতায়নের আওতায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সমন্বয়ে আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ নাগরিকেরা ঘরে বসেই নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা অনলাইনে পেতে পারেন। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ও তৎপরতার অভাবে তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনলাইন ব্যবহারকারীরা।
হরিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত ৩২টি সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইটে রবিবার (৯ মার্চ) দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হালনাগাদ করা হয়নি বেশিরভাগ দপ্তরের ওয়েবসাইট। দপ্তরের কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন সভার বিবরণী, উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য, বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকার কর্ণার থাকলেও তাতে হালনাগাদ তথ্য উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তার তথ্য।
এছাড়া, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী যেসব তথ্য স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রদানযোগ্য সেসব তথ্যগুলো দেওয়া নেই। অনেক ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তথ্য হালনাগাদ করা হলেও কর্মচারিদের তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়েবসাইটে দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এ কে এম রাসেলের নাম উল্লেখ নেই। সেখানে উল্লেখ রয়েছে সাবেক কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্নার তথ্য। একই অবস্থা থানার ওয়েবসাইটেও। সেখানেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমান ওসি মোহাম্মদ মুমিন খানের পরিবর্তে রয়েছে পূর্বের ওসি সুমন কুমার আদিত্যের তথ্য।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই বর্তমান কর্মকর্তা আইয়ুব আলী খানের তথ্য। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটেও বর্তমান পিআইও মো. রেজাউল করিমের বদলে পূর্বের কর্মকর্তার তথ্য রয়েছে। পরিসংখ্যান কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই বর্তমান কর্মকর্তার তথ্য।
সার্বিক বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, যার যার দপ্তরের ওয়েবসাইট তার তার আপডেট করার কথা। ওয়েবসাইটগুলো সবার আপডেট করে রাখা উচিত। কারণ মানুষ ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারেন। বিশেষ করে অফিসারদের নাম ও মোবাইল নম্বরটা সবসময়ই আপডেট রাখা উচিত।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :