AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে ছাগলের ঘরে তালাবন্দি বৃদ্ধ মা! উদ্ধার করলেন নির্বাহী কর্মকর্তা


ফরিদপুরে ছাগলের ঘরে তালাবন্দি বৃদ্ধ মা! উদ্ধার করলেন নির্বাহী কর্মকর্তা

ফরিদপুর জেলার নগরকান্দায় সন্তানের  অবহেলায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছিলেন সবজান খাতুন নামের (৮০) বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। সবজান খাতুন নামের এ নারীকে দীর্ঘদিন যাবৎ ছাগল পালনের ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন তার ছেলে আবুল কালাম। বৃদ্ধা ওই ঘরেই অবহেলা-অযত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। ওখান থেকে কখনো তাকে বের হতে দেওয়া হতো না।

ঘটনা জানাজানির পর সোমবার (১০ মার্চ) তার বাড়িতে যান নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি গিয়ে বৃদ্ধাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহিদনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেলবাড়িয়া গ্রামের মৃত হামিদ শেখের স্ত্রী সবজান খাতুন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে চুয়াডাঙ্গায় থাকেন। সেখান থেকে চার মাস আগে তিনি বাড়িতে ফেরেন। এর পর থেকে ছোট ছেলে আবুল কালাম ও তার স্ত্রী ছাগল রাখার ঘরে সবজান খাতুনকে আটকে রাখেন। তারা নানা রকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে ঠিকমতো খাবার না দিয়ে সব সময় ছাগল রাখার ঘরটিতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে ছেলে আবুল কালাম বলেন, ‘আমার মাকে আমি যেমন খুশি তেমন রাখব, তাতে মানুষের কী? মা আমাদের কোনো কথা শুনত না। যে কারণে তাকে ঘরের ভেতর বন্দি করে রাখা হয়।’

কোদালিয়া শহিদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার জাকির হোসেন নিলু বলেন, ‘বৃদ্ধ সবজান খাতুন কয়েক মাস আগে বড় ছেলের বাড়ি থেকে ছোট ছেলের বাড়িতে আসেন। আসার পর ছোট ছেলে তার মাকে ছাগলের ঘরে আটকে রাখেন। বিষয়টি খুব অন্যায় হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

তিনি বলেন, ‘সোমবার তার বাড়িতে ইউএনওসহ সরকারি কর্মকর্তারা যান। এখন থেকে ওই বৃদ্ধার জন্য যা যা প্রয়োজন ইউনিয়ন পরিষদ সেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফী বিন কবির বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারি বৃদ্ধাকে কী এক দুর্বিষহ পরিবেশে রাখা হয়েছিল। সেখানে পশুর সঙ্গে মানুষ বসবাস করেছেন। আমরা রোজার মাসে ওই বৃদ্ধার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যা প্রয়োজন, তা তৎক্ষণাৎ দিয়ে এসেছি। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে তার জন্য দুই বান্ডিল টিনের ব্যবস্থা করেছি। একই সঙ্গে ঘর তৈরি করার জন্য যা টাকা প্রয়োজন, সেটাও প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ওই টিন থেকে পাশেই পশু রাখার জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আমরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সঙ্গে কথা বলে তার জন্য একটি হুইলচেয়ার ও একটি ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। একই সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা কেন বিষয়টি জানতে পারেনি।’

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

 

Link copied!