নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে পোলো বাইছকারিদের সাথে জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিখোঁজ হওয়া ৫ জনের মধ্যে কেন্দুয়ার হ্নদয় মিয়া সহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলের দিকে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পৃথক স্থান নাওটানা ও রসুলপুর ঘাট এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৮ মার্চ হাওরের বিভিন্ন জলমহালে কয়েক হাজার পলো বাইছকারীরা মাছ ধরতে গেলে ওই দুই গ্রামবাসীর সাথে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।
নিহতরা হ্নদয় মিয়া (২৮) কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের রোয়াইল বাড়ী গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
জানা যায় নিহত হ্নদয় মিয়া স্থানীয় বাজারে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করিত।প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ৮ মার্চ অন্যদের সাথে জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা পলো দিয়ে মাছ ধরতে যায়। মারামারির খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে কোথাও খুঁজ পায় নাই।সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলের দিকে তিন জনের লাশ পাওয়ার খবর শুনে গিয়ে দেখে সেখানে হ্নদয়ের লাশ।
নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ(মঙ্গলবার) দুপুর তিন টায় তার নিজ বাড়িতে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহত অন্য দুইজন হলেন জেলার আটপাড়া উপজেলার শ্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের শহীদ মিয়া (৫০) ও মদন উপজেলার ইউনিয়নের বাগযান গ্রামের রোকন মিয়া (৫০)।
সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের পাঁচ শতাধিক আহত হন। আত্ম রক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাঁচজন নিখোঁজ হয়।
খালিয়াজুরীর লেপসিয়া ফাঁড়ির নৌ পুলিশের আইসি জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, পলো বাইছকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পলো বাইছে গিয়ে হ্নদয় মিয়া নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :