শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে রয়েছেন। দপ্তরে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের স্থানে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদ হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়।
এরপর তিনি উপজেলা বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হতেন। গত দুই মাস ধরে তিনি অনুপস্থিত। এরপরও স্বপদে বহাল। বর্তমানে তার স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল। তিনিও একই মামলার আসামি। শৌলজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম বলেন, ৪ আগস্ট চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপনের নেতৃত্ব ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন। প্যানেলে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালও মামলার আসামি। যুবদল নেতা রিয়াজুল হক ও মাসুম বিল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তারা গ্রেফতার হননি।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, আমাদের নামে মামলা হয়েছে, তা রাজনৈতিক মামলা। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছি। বাইরে অফিসিয়াল কাজে গেলে তখন মোস্তফা কামাল প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের নামে মামলা হলে আমরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছি। চেয়ারম্যান না থাকলে তখন আমি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বলেন, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেন গ্রেফতার করা হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাদী আসুক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে কোনো মামলার কাগজ আসেনি। আমরা দুবার ভিজিটে গিয়ে তাকে উপস্থিত পেয়েছি। তিনি উপস্থিত না থাকলেও প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। আর কোনো অভিযোগ পাইনি।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :