লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়কের মালিকানাধীন ইটভাটাসহ দুটি ইটভাটা গুরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে বুলডোজার নিয়ে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতায় এমজেএ-২ ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা।
গত ২৬ জানুয়ারি ও ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ করতে দুই দফায় পত্র পাঠায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা। সেখানে বলা হয় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এমজেএ -২ ব্রিকস কালো তালিকা ভুক্ত হয়েছে। যা দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। প্রশাসনের সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারছে ইট তৈরী ও বিক্রি অব্যাহত রাখা হয়। যা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তারের কর্মকর্তারা দুইজন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট নিয়ে ওই ভাটায় অভিযান চালায়। এ সময় ভাটার কাগজপত্র দেখতে চাইলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিএম তানভীর সাবুসহ তার লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে ইটভাটায় ট্রাক্টর ও ট্রাক দিয়ে পরিবেশ কর্মকর্তা ও দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসমী করে মামলা দায়ের করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে প্রশাসন এ ভাটা গুড়িয়ে দিতে নড়েচড়ে বসে। বুধবার দুপুরে ইউওনও সিফাত আনোয়ার তুমপা`র নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বুলডোজার নিয়ে অবৈধ এমজেএ -২ ব্রিকস গুড়িয়ে দেয়।
একই দিনে একই এলাকার বিবিএমসি ব্রিকস নামের আরও একটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এসময় লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) এ.কে.এম ফজলল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিজন চন্দ্র, পরিদর্শক গোলাম মোহাম্মদ আসিফ রহমান, কারীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এর ইনচার্জ শরিফুল ইসলামসহ যৌথবাহিনী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা এলাকায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে এক নামে পাশাপাশি দুটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের এমপি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের সাথে আতাত করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন বিএনপির ওই নেতা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :