চুয়াডাঙ্গা জেলার শিল্পনগরী দর্শনায় আবারো পাওয়া গেলো বোমা। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকাসহ পৌর এলাকায় ১৩টি শক্তিশালি বোমা উদ্ধার করা হয়।
এক মাসের ব্যবধানে আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে দর্শনা মা ও শিশু হাসপাতালের পেছনে ইট খোলা নামক স্থান থেকে স্থানীয়রা একটি বোমার সন্ধান পায়। পরে দর্শনা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার ১৪ মার্চ সকালে সাধারন মানুষ ওই এলাকায় একটি সাদা পলেথিনের ব্যাগের কাঠের গুড়ার উপর লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পায়। পরে তারা দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ এলাকা টি ঘিরে রাখে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমির বলেন, একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। পরে এটি উদ্ধার করে পানির ভিতরে রাখা হবে। পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে বোমা নাকি ককটেল। তিনি আরো বলেন, এর আগে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত ৬টি বোমার মধ্যে দুইটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। আগের ৪টি ও আজ উদ্ধারকৃত ১ টি মোট ৫ টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হবে।
উল্লেখ্য গত ১৩, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকা থেকে পৃথক পৃথক ভাবে ৬ টি বোমা উদ্ধার করা হয়। একদিনের ব্যবধানে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে ৭ টি বোমা উদ্ধার করা হয় যার মধ্যে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়। পরে রাজশাহী রেপিড একশন ব্যাটালিয়নের-৫ ইউনিট ও যশোর সেনানীবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট তা নিস্ক্রিয় করেছিল। সে বিষয়েও কেরু চিনিকল কতৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল। দর্শনা শিল্প ও সীমান্ত শহর বর্তমানে বোমাতাংক বিরাজ করছে বলে সর্ব সাধারনসহ অনেকেই মনে করছেন।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :