গাজীপুরের শ্রীপুরে র্যাব পরিচয়ে বাবুর্চি হুমায়ুন কবিরের বসতবাড়ীতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সোর্স রিয়েল এবং রিফাতের বিরুদ্ধে। তাদের হামলায় দুইজন আহত হয়। তারা ঘরের স্টীলের আলমীরাতে রাখা সাইড ব্যাগ থেকে গরু বিক্রির নগদ ৫ লাখ টাকা ও সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া (বাবুর্চি মোড়ে) কবিরের বসতবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জয়ারচর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে অলি আহমেদ (২৫) এবং পাশের শহীদ মিয়ার ছেলে অনিক (৩০)। অলি আহমেদ ছোট থেকেই হুমায়ুন কবিরের বাড়ীতে কাজ করে। তারা স্থানীয় ফার্মেসী থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
বাবুর্চি হুমায়ুন কবির মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের হাজী আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি বাবুর্চি পেশার পাশাপাশি বাড়ীতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
পুলিশের সোর্স রিয়েল এবং রিফাত শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ (পল্লী বিদ্যুৎ মোড়) এলাকার বাসিন্দা।
বাবুর্চি হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার দিন রাত ১১ টার দিকে শ্রীপুর থানা পুলিশের সোর্স রিয়েল আমার বাড়ীতে আসে। সে আমাকে ডেকে বলে আপনার কাছে ছিনতাইকৃত একটি মোবাইল আছে। তখন আমি বললাম আমি কখনো ছিনতাইকৃত বা পুরনো মোবাইল ক্রয় করি না। মোবাইল থাকলে ট্যাগ করে দেখেন। এসময় রিয়েল আবার আমাকে মোবাইল দেওয়ার জন্য ভয় দেখায়। মোবাইল না দিলে তাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করার প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ঘন্টা পর তার সহযোগী ১৫/২০ জন লোক এসে বাড়ীর টিনের গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবশে করে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। তাদেরকে বাড়ীর কাজের ছেলে অলি আহমেদ বাধা দিলে তাকে মাথায় আঘাত করে আহত করে। এসময় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পন্ডিত এবং তার সাথে থাকা অপর সোর্স রিফাত ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের আলমীরাতে রাখা সাইড ব্যাগ থেকে গরু বিক্রির নগদ ৫ লাখ টাকা ও সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার (গলার চেইন, আংটি ও কানের দুলসহ) লুটে নেয়। এ সময় তারা বাড়ীতে থাকা নারীদেরকে শ্লীলতাহানী ও মারধর করে তার স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার পন্ডিত বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। ছিনতাইকৃত মোবাইল সন্ধনে গিয়ে হুমায়ুন কবিরের বসত ঘর থেকে ৩৫ পিছ ইয়াবা এবং আড়াইশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কবির স্ত্রী দিনা খাতুকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, রিয়েল এবং রিফাত নামে শ্রীপুর থানা পুলিশের কোনো সোর্স নেই।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :