AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধর্ষণকারী মানুষ নয়, মানুষ আকৃতির পশু


ধর্ষণকারী মানুষ নয়, মানুষ আকৃতির পশু

দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ধর্ষণের মতো মহামারী ব্যাধি।এই মহামারী ব্যাধি রুখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রথমেই ভেসে আসে  ধর্ষণ পর খুন অথবা আত্মহত্যা।

দিন দিন বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে এই মহামারী অপরাধ। কিছু সত্য ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে এর মাঝে ফায়দা লুটতে  মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর এর প্রভাব পরছে। এদিকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রশাসন। কিছু কুচক্রী মহল তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার সাথে,পুর্বের ঘটে যাওয়া ঘটনা,ধার করা ঘটনা অথবা বানোয়াট,  ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষ কে হতাশায় ফেলছে। আবার সেইসব ভিত্তিহীন তথ্য অনেকেই বুঝে, আবার অনেকে না বুঝে  লিংক শেয়ার দিয়ে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সাধারণ মানুষ অস্বস্তিকর অবস্থায় পরিণত হয়েছেন।

ধর্ষণ কি একটা ব্যাধি, না সামাজিক অবক্ষয়,এমন প্রশ্ন অনেকের ?

ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি যা মহামারী আকারে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষণ বলতে বুঝায় কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন। ধর্ষণের শিকার হয়ে  সামাজিক ভাবে লাঞ্ছিত হয়ে অনেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। যারা নারীদের উপর এই পাশবিক নির্যাতন করছে তারা মানুষ নামের অমানুষ। তাঁদের যৌন লালসার শিকারে শিশুরাও  বাদ পড়ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, এক শ্রেণীর লোক গোপনে যৌন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অনেক পরিবারকে সর্বস্ব লুট করে নিচ্ছে। আবার কোথাও পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করছে।

এ নিয়ে সমাজের সচেতন মহল সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ, সামাজিক সংগঠন গুলো আন্দোলন শুরু করে। শুধু আন্দোলন করলেই হবে না। সবাই মিলে এই মানুষ রুপি পশুদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্মীয় আইন মেনে চলতে হবে, নারীদের সচেতনত হাতে হবে, দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। বিচারের জটিলতা ভেঙে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থার গ্ৰহন করতে হবে । ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন  ৭৬  দণ্ডবিধির অনুসারে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


একুশে সংবাদ// এ.জে

Link copied!