সিঙ্গাপুরের জাহাজে বাংলাদেশি নাবিক আব্দুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা হলেও দুই বছরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টার ও একাধিক থানায় ঘুরেও হত্যা মামলা করতে পারেনি নিহদের পরিবার।
প্রায় দুই বছর পর হাইকোর্টে রিট করেন নিহতের ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হালিমুর রশীদ। পরে ২০২৪ সালের জুন মাসে হাইকোর্ট বিমানবন্দর থানাকে হালিমুর রশীদের করা অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এ মামলায় জাহাজে কর্মরত ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানা থেকে মামলাটি তদন্তভার যায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে। তবে আলোচিত এ মামলা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা টালবাহান করেছেন বলে অভিযোগ করেন হালিমুর রশীদ। শনিবার (১৫ মার্চ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এমন অভিযোগ করেন।
হালিমুর রশীদ বলেন, তার ভাই মো. আব্দুর রহমান ২০২১ সালের ৭ই অক্টোবর সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে নাবিক হিসাবে যোগ দেন। হক অ্যান্ড সন্স নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে ওই ট্যাঙ্কার জাহাজে নিয়োগ পান তিনি। জাহাজটিতে থাকা ২৫ জনের মধ্যে একজন কোরিয়ান নাগরিক ছিলেন। বাকি ২৪ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
যোগদানের কিছুদিন পরই পরিবারের সদস্যদের আব্দুর রহমান জানান, জাহাজে কয়েকজন সহকর্মীর সাথে তার মনোমালিন্য হয়েছে। ঘটনাটি এক পর্যায়ে ঝগড়া ও হুমকির পর্যায়ে চলে যায়। পরিবারের পরামর্শে তখন জাহাজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন আব্দুর রহমান।একইসাথে জাহাজ থেকে তাকে নামিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন।
আব্দুর রহমান আব্দুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদের ছোট ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে নিহত আব্দুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :