বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেছেন শেরপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত একটি জেলা। এখানে নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক, ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্র ও ময়মনসিংহ বনবিভাগের অধীন রাংটিয়া রেঞ্জসহ বেশকিছু সুন্দর সুন্দর স্পট রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করার মত।
পর্যটন কর্পোরেশন থেকে ইতিপূর্বে আমরা গজনীতে কিছু সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছি যা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইন্ডিপেনডেন্টলি শেরপুরে এখনও কোন পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন হয়নি। পর্যটকদের জন্য নেই কোন আবাসিক সুবিধা। এখানে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট থাকলে পর্যটকদের ভীড়ে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে শেরপুর হয়ে রাংটিয়ার দুরত্ব ২০৫ কিলোমিটার। রাংটিয়ার একপাশে রয়েছে গজনী অবকাশ কেন্দ্র ও আরেক পাশে রয়েছে মধুটিলা ইকোপার্ক। দু`টোর মাঝামাঝি রয়েছে রাংটিয়া। জায়গাটির সৌন্দর্য, গুরুত্ব ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে আমরা রাংটিয়া রেঞ্জ এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সায়েমা শাহীন সুলতানা ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাক্তিগত সফরে নিজ এলাকা শেরপুরের নকলায় ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন গত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রাংটিয়ায় একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য আমরা রাংটিয়া মৌজায় ৫ একর খাস জমি বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছি। জমিটা পেলে আমরা সেখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র করব। যেখানে থাকবে হোটেল, মোটেল, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিসসহ নানাবিধি সুবিধা।
ওইসময় সায়েমা শাহীন সুলতানার স্বামী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমাদুল হক ভূঁঞাসহ পরিবারের সদস্য, ধুকুরিয়া এ-জেড টেকনিক্যাল আন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল আলম এবং কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :