AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

স্থাপত্যের রত্ন ছোট সোনামসজিদ


Ekushey Sangbad
আব্দুল ওয়াহাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
০১:২৬ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৫
স্থাপত্যের রত্ন ছোট সোনামসজিদ

মসজিদের নাম ছোট সোনামসজিদ৷ কথিত আছে, মসজিদের গম্বুজ ছিল সোনায় মোড়ানো। সেই সোনায় চোখ যায় চোরের দলের। চুরিও করে নিয়ে যায় সেই সোনা৷ সোনায় মোড়ানো গম্বুজের কারনেই নামকরণ হয় সোনামসজিদ। যদিও এই মতের পক্ষে ঐতিহাসিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে বেশিরভাগই মানুষেরই এই মতে বিশ্বাসী। যদিও লেখক ও গবেষকরা এবিষয়ে দ্বিমত। ছোট সোনামসজিদের পাশেই বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে আরও একটি মসজিদ। যার নাম বড় সোনামসজিদ৷ একই সময়ে তেরি হওয়ায় মসজিদ দুটির নাম ছোট ও বড় সোনামসজিদ।

সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে ওয়ালি আহমেদ নির্মিত ইসলামের ঐতিহ্য ধারন করে গত প্রায় ৫০৬ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই ছোট সোনামসজিদ। যা হোসেন শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরি মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর উপকণ্ঠে পিরোজপুর গ্রামে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল, যা বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাজবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনামলে (১৪৯৪-১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে) ওয়ালি মোহাম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

মসজিদের মাঝের দরজার উপর প্রাপ্ত এক শিলালিপি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। তবে শিলালিপিতে নির্মাণের সঠিক তারিখ সম্বলিত অক্ষরগুলি মুছে যাওয়ায় সঠিক নির্মাণকাল জানা যায়নি। ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মতে, সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন হিসেবে পরিচিত ছোট সোনামসজিদের বাইরের দিকে সোনালি রংয়ের আস্তরণ ছিল, সূর্যের আলো পড়লে এই রং সোনার মতো ঝলমল করত। এই থেকেই এর নামকরণ হয় সোনামসজিদ। তবে অনেকের মতে, সুলতানের স্ত্রীর নাম ছিল সোনাবিবি, সেই থেকেও এই নামকরণ হতে পারে। গম্বুজের উপরে সোনার প্রলেপ দেয়া ছিল বলেও এই নাম হতে পারে বলে অভিমত অনেকের। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি মসজিদ রয়েছে, যেটি বড় সোনামসজিদ নামে পরিচিত।

জানা যায়, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে পাল বংশের রাজাদের সময় থেকে প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম শাসকরা গৌড় অধিকারের পরেও বাংলার রাজধানী ছিল এটি। পরে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বাংলার রাজধানী বছর তিনেকের জন্য স্থানান্তর করা হয় পাণ্ডুয়ায়। পরে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে আবার ফিরে আসে তা গৌড়ে। প্রাচীন এ জনপদ বাংলার রাজধানী ছিল বলে বহু অবকাঠামো গড়ে উঠেছিল এই অঞ্চলে। সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদ, মাদ্রাসাসহ নানা মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের মধ্যে ছোট সোনামসজিদ এক অপূর্ব নিদর্শন।

মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ৮২ ফুট লম্বা ও পূর্ব-পশ্চিমে ৫২.৫ ফুট চওড়া। উচ্চতা ২০ ফুট। এর দেয়ালগুলো প্রায় ৬ ফুট পুরু। দেয়ালগুলো ইটের কিন্তু মসজিদের ভেতরে ও বাইরে এরা পাথর ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!