কালীগঞ্জের সকল বাজারে নিত্বপন্যের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় এবারের রমজানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে নেই তেমন হাহাকারের চিত্র। প্রশংশিত হচ্ছেন দতারকির দায়িত্বে থাকারাও। কিন্তু তদারকরা বলছেনে এর অবদান সরকারের।
উপজেলার বেশ কয়েকেটি বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায়, সঠিক তদারকির কারনে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়নি কালীগঞ্জের সাধারণ ক্রেতাদের। শীতকালীন সবজি বাম্পার ফলনে সবকিছুর দাম সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে রমজানের শুরুতে কয়েকদিন শষা ও লেবুসহ কিছু পল্যের বাজার চড়া ছিল। তবে উপজেলা প্রশাসন দাবী করছে সকল পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার, জাামালপুর বাসাইর বাজার, নাগরী বাজার, আওড়াখালী, নরুনবাজারসহ বেশ কিছু বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তরমুজসহ বেশ কিছু ফলের বাজার মূল্য আকাশছোয়া। কেজির দরে বিক্রি হওয়ায় তরমুজ ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছে ক্রেতারা। সাধারণ ক্রেতারা বলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ হলেই জনগণের সাধ্যের মধ্যে থাকবে সকল দাম প্রকার পণ্য।
গাজীপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শফি আফজালুল আলম মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, বছরের শুরুতেই সকল প্রকার খাদ্য-শষ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করায় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। রমজান উপলক্ষে দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। বাজার নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ প্রতিবেদককে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানের পূর্ব হতেই প্রশাসন সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের কৃতিত্ব সরকারের বলে তিনির দাবী করেন। খাদ্যের সরবরাহ ও মজুদদের বিষয়টা নজরদারীতে ছিল বলেই এবার কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়নি। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :