AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সেতুর অভাবে বাঁশের সাঁকোই ২০ হাজার মানুষের ভরসা


সেতুর অভাবে বাঁশের সাঁকোই ২০ হাজার মানুষের ভরসা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর বাঘারচরের ১০ গ্রামের  মানুষের  চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মিত না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোতেই চলছে পারাপার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে  উভয় পারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর বাঘারচরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী নদী। দীর্ঘদিনেও সরকারিভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ এ নদীতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ না নেয়ায় স্থানীয় লোকজন বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হয়। এই সাঁকো দিয়েই তালেবপুর, মজলিশপুর, বাঘারচর, চর চারাভাঙ্গা, চরজামালপুর, কাশেমপুর, কালীনগর, চর কৃষ্ণপুর, মাধবপুর, রাজিবপুরসহ দশ গ্রামের মানুষজন চলাচল করে। 

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, একটি সেতুর অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপারে অনেক সময় ইজারাদারের নিকট লাঞ্চিত হতে হয়। স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছোট ছোট শিশুদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়াসহ বর্ষা মৌসুমে স্কুলে পৌছাতেও দেরি হয়। এ্যাম্বুলেন্স আসতে না পারায় সবচেয়ে চরম মূল্য দিতে হয় গর্ভবতী মহিলা ও মূমুর্ষ রোগীদের। সিএনজি, অটোরিকসা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল পারাপারে র্দূঘটনার কবলে পড়তে হয়। ভারী যানবাহন না চলায় কৃষিতে উৎপাদিত পুন্যদ্রব্য সময়মত বাজারজাত করা যায় না। ফলে কৃষকরা তা বিকল্প রাস্তায় আনা নেয়া করতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সেতুটি নির্মিত হলে দুই পারের প্রায় বিশ হাজার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে বলেও স্থানীয়রা জানান।

 স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম রেজা বলেন, এই নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে সব শ্রেণি পেশার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্যদ্রব্য ঠিক সময় বাজারজাত করতে পারবে। সেতুটি আমাদের খুবই প্রয়োজন। 

কৃষক আব্দুল করিম বলেন, নির্বাচন আইলে ব্রীজ দেওয়ার হিড়িক পরে যায়। নির্বাচন চইলা গেলে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আর খবর থাকে না। অটোচালক চাঁন মিয়া বলেন, সেতুটি না হওয়ার কারনে আমাদের ছেলেমেয়েরা সময় মত স্কুলে যেতে পারে না। শাঁকসবজী সময়মত বাজারে না নিতে পারায় সঠিক মুল্য থেকে বঞ্চিত হই। 

বাঁশের সাঁকো ইজারাদার রহিম খাঁ বলেন, আমি প্রায় ১৪ বছর ইজারাদার হিসেবে আছি। এই নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে দুই পারের মানুষদের চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

উপজেলা  প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম (ভূইয়া) বলেন, আমি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করে ডিপিপিটি ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠাবো। সেতুটি যাতে দ্রুত পাশ করানো যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!