সবুজ পাতার ফাঁকে লুকিয়ে রয়েছে উন্নত জাতের সবুজ গোলাপি রঙের বেগুন। প্রতিটি বেগুন গাছের ডালে ডালে দুলছে ৫ থেকে ৬টি পরিপক্ব বেগুন , যার প্রতিটির ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বাজারে অনেক জাতের বেগুন থাকলেও গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইসলামপুর গ্রামের মৃত সমুজ মিয়ার ছেলে কৃষক সোলায়মান মিয়া এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বারী-৪ জাতের বীজ নিযে উন্নতজাতের বেগুনের চাষ শুরু করেন।
অন্যান্যে বেগুনের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বাজারে বারী - ৪ জাতের বেগুনের চাহিদা অনেকটা বেশি।ফলে অধিক লাভে নিজের ভাগ্যে বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক সোলায়মান।
তিনি বলেন, এ বছরই প্রথমে আমি ৫০ শতাংশ জমিতে বারি জাতের দু,রকমের বেগুনের চাষ করি। উৎপাদন ভালো হওয়ায় প্রথম পর্যায়ে এক সপ্তাহে ৭২ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এই বেগুন চাষাবাদে শ্রমছাড়া আমার আর কোনো ব্যয় নেই।
মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই পোকা মুক্ত বেগুনে এ পর্যন্ত আমি দশ হাজার টাকা খরচ করেছি মাত্র। রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। বর্তমানে প্রতিটি বেগুন গাছে ৫ থেকে ৬টি করে বেগুন ধরছে। যার প্রতিটির ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বীজ হীন, কীটনাশক মুক্ত ও খেতে সুস্বাদু।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলক এ বছর কয়েকজন কৃষকের মাঝে বারী-৪ জাতের বেগুনের বীজ সরবরাহ করেছি। এতে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আগামীতে আশা করি চাষ বাড়বে।’
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউল আলম বলেন, ‘আমরা কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় যুগোপযোগী ফসল উৎপাদনে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ফসলের বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নত জাতের বেগুনের বীজ প্রদান করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :