স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সম্মানিত হবেন মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদরা। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চলছে সৌন্দর্যবর্ধন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ। গত সোমবার থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগত দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ১০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী স্মৃতিসৌধের ফটক থেকে মিনার পর্যন্ত পুরো এলাকা ধুয়ে-মুছে চকচকে করে তুলেছেন। পরিষ্কার করা হয়েছে সৌধচূড়া থেকে হেঁটে যাওয়ার পথগুলোও। শোভাবর্ধনের জন্য লাগানো গাছগুলো ছেঁটে পরিপাটি করে তোলা হয়েছে। বসানো হয়েছে বাহারি রঙের ফুলের টব।লেকগুলোকে পরিষ্কার করে লাগানো হয়েছে রক্তিম বর্ণের শাপলা। সাদা রঙের শুভ্রতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুরো সৌধ এলাকা। শেষ হয়েছে আলোকসজ্জার কাজও।
এছাড়াও ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি কন্ট্রোলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হবে পুরো সৌধ এলাকা।
ভোরের প্রথম প্রহরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সহ দেশের সকল মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি,র্যাব সহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখবেন স্মৃতিসৌধ এলাকা।পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখবেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ ছুটে আসবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করতে।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মরত পরিছন্নতা-কর্মীরা জানান, ২৬ মার্চ উপলক্ষে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। দেশের সবাই শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন এখানে।
এ ব্যাপারে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় উপদেষ্টা সহ দেশের সকল মানুষের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। গোটা এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :