ভোলার চরফ্যাশনে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে আমিনাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সামছুল আলমের বিরুদ্ধে। সরকারী চাকুরীর আড়ালে কীটনাশকের ব্যবসা চালিয়ে রাখতে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের মো. বেল্লাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানী মূলক অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসান বাজারের শতাধিক নারী-পুরুষ কৃষি উপ-সহকারীর বিচারের দাবী ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানবন্ধন করেন।
জানাযায়, আমিনাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি চাকুরীর পাশাপাশি ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবাসন বাজারে কীটনাশকের ব্যবসা করেন। তিনি একজন কৃষি উপ-সহকারী হওয়ার সুবাধে পার্শ্ববর্তী ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারে একটি সার ও কীটনাশকের দোকান দিয়ে স্থানীয় কৃষকদেরকে অফিস থেকে নানান সুবিধা দেয়ার নামে বেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন। ওই বাজারের তার পার্শ্ববর্তী অপর ব্যবসায়ী বেল্লালসহ স্থানীয় কৃষকরা তার অনৈতিকভাবে বেজাল কীটনাশক ও নকল সার বিক্রির প্রতিবাদ জানালে তিনি ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে নানান ধরনের কুরুচিপূর্ণ অপপ্রাচার শুরু করেন। কৃষি উপ-সহকারীর অনিয়ম ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন।
ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন জানান, তিনি ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারের একজন কীটনাশক ব্যবসায়ী। তার পাশাপাশি ওমরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষি উপ-সহকারী মো. সামছুল আলম ওই বাজারে গিয়ে একটি কীটনাশকের দোকান দেন। তিনি একজন কৃষি উপ-সহকারী হওয়ার সুযোগে তিনি স্থানীয় কৃষকদের জিম্মি করে বেজাল সার ও নকল কীটনাশক দিয়ে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ কৃষি উপ-সহকারী সামছুল আলম নিজের প্রভাব খটিয়ে তাকে হেনস্তা করার জন্য গ্রামে তার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার শুরু করেন। তার প্রতিকার চান তিনি।
স্থানীয় হালিমাবাদ গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, ওমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষি উপ-সহকারী সামছুল আলম ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারে গিয়ে একটি দোকান দেন। তিনি কৃষি উপ-সহকরী হয়ে নিজের প্রভাবখাটিয়ে তার ওই দোকানে বেজাল সার ও নকল কীটনাশক বিক্রি করে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। তিনি কৃষকদেরকে পরার্মশ না দিয়ে তার দোকানে বসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনিয়মের প্রতিবাদ জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. বেলাল্ল হোসেন। প্রতিবাদ করায় কৃষি উপ-সহকারী ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন। তার এই অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গ্রামবাসীরা।
ওসমানগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. ফারুক জানান, আমি ৫ একর জমিতে কৃষি কাজ করছি। আমাদের এলাকাতে কর্মরত কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সামছুল আলম মাঠ পর্যায়ে আমাদের কাছে গিয়ে সে কোন ধরনের পরামর্শ দেন না। সে ওসমানগঞ্জ আবাসন বাজারে একটি কীটনাশকের দোকান খুলে বসেছে। তার দোকান থেকে কীটনাশক ও সার কিনতে কৃষকদের বাধ্য করছে সে। এসবের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বেল্লালকে বিভিন্ন অপবাদে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান কৃষি উপ-সহকারী সামছুল আলম। আমরা তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদে এলকাবাসী ও কৃষকরা সমবেত হয়েছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা সামছুল আলম জানান, এই ব্যবসাটা আমার বাবার ছিল। বর্তমানে আমার চাচা ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। আমি মাঝে মাধ্যে দোকানে বসি। এবং আমাকে ওই এলাকাতে বেল্লাল হোসেন মারধর করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :