ট্রেনে কেটে নারীর মৃত্যুর ১৪ ঘন্টা পর ট্রেন ট্রলির সংঘর্ষে জীবন গেল ট্র্যাক্টর ড্রাইভার ভোলা হোসেনের (১৯)। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর রেলস্টেশনের অদুরে সোয়াদি রেল গেটে। সে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রসুল( নয়ন) বলেন,শুক্রবার রাত তখন ১২.৩০ মিনিট। সোয়াদি গেট থেকে খবর আসে ট্রেন ট্রলিযুক্ত ট্র্যাক্টরের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় ট্রলি ড্রাইভার ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। আর ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গেছে ট্রলি। তবে ট্রেনের কোন ক্ষতি সাধিত হয়নি। এ ছাড়া ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্নও ঘটেনি।
তিনি বলেন,ওই সময় ঢাকাগামী সুন্দর এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে ওই ট্রেনের সঙ্গেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টরের। ওই সময় বিষয়টি যশোর জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম হোসেন বলেন,সোয়াদি গেটের পাশেই আমার একটা সাইড চলছে। ওই সময় আমিও গেট পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পায় ট্রেনের সঙ্গে ট্র্রলির সংঘর্ষের ঘটনা।
তিনি বলেন,ট্রলি ড্রাইভার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের একটি পুকুর থেকে মাটি বোঝায় করে ভাটাই যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘটে এ দূর্ঘটনা। ঘটনাস্থলে মারা যান ট্রলি ড্রাইভার ভোলা হোসেন(১৯)। সে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গহেরপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১১.৩০ মিনিটের সময় সাবদারপুর ট্রেন স্টেশনের ১০৯ কিলোমিটারের মধ্যে সোয়াদি গেটে ট্রেনে কেটে মারা যান পঞ্চাশোর্ধ অজ্ঞাত এক নারী। ঘটনার পর মৃত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান যশোর জিআরপি পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই মনিতোষ কুমার। তবে এখনও পর্যন্ত ওই নারীর কোন সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন,সকালের ঘটনার ১৪ ঘন্টা পর আবারও এ ঘটনা। আমরা ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই ড্রাই কানে হেড ফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে গাড়ি ড্রাইব করছিল। এতে করে সে অসাবধান হয়ে পড়েন। আর ঘটে এ ঘটনা।
একুশে সংবাদ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :