চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে চুয়াডাঙ্গায় বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ।তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে চাহিদা বেড়েছে গৃষ্মকালীন রসালো ফল তরমুজের।পবিত্র মাহে রমজানের প্রথমদিকে তরমুজের তেমন চাহিদা না থাকলেও শেষের দিকে এসে চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।
জেলার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ভ্রাম্যমাণ তরমুজের দোকান গুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে তরমুজের বেচাবিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।তরমুজের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। তরমুজের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে পিসপ্রতি ২০/৩০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। ছোট ও মাঝারি সাইজের তরমুজ আড়াইশ থেকে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় সাইজের তরমুজ সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার উথলী বাজারের তরমুজ বিক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন,রোজার মধ্যে তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে এজন্য প্রথম রোজা থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করি।কিন্তু রোজার প্রথমদিকে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকার কারনে তরমুজের চাহিদা কম ছিলো।আবার রোজার মাঝামাঝি সময়ে এসে হালকা বৃষ্টির কারনে অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে।যার কারনে খুব ভালো ব্যবসা করতে পারি নি।তবে সপ্তাহ খানিক ধরে তরমুজের চাহিদা খুব বেড়ে গেছে।
তরমুজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন,রোজার প্রথম দিকে ইফতারিতে তরমুজের তেমন প্রয়োজন পড়েনি।কিন্তু এখন তাপমাত্রা বাড়ার কারনে তরমুজের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের আড়াইশ টাকা থেকে তিনশো টাকা দিয়ে ছোট মাঝারি সাইজের তরমুজ কিনতে দেখা গেছে।
গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই।আগামীতে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও বাড়াতে পারে।তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের কদর আরও বাড়বে।
একুশে সংবাদ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :