AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ৪১ ঘন্টা পরে উদ্ধার


খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ৪১ ঘন্টা পরে উদ্ধার

বরিশালের বানারীপাড়ায় খালে গোসল করতে নেমে স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ শিশু মালিহা’র (৮) মরদেহ ৪১ ঘন্টা পরে সন্ধ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বুড়িহারী এলাকায় ইটভাটা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মালিহার নানা বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন মাছরং গ্রামে নিয়ে আসা হয়।

এসময় সেখানে তার বাবা-মা, তিন ভাই ও নানিসহ স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। তাদের কান্না-আহাজারি উপস্থিত সবাইকে কাঁদায়। সে বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের মাছরং গ্রামের মৃত বাদশা খানের নাতনি ও মৎস্যজীবী  মো. রাসেলে মেয়ে। সপরিবারে নানা বাড়িতে থেকে মালিহা স্থানীয় জম্বদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তো। মালিহার মামা পলাশ খান জানান, চাঁদপুরের মতলব উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নানা বাড়ির সামনে জম্বদ্বীপ খালে গোসল করতে নামলে জোয়ারের তীব্র স্রোতে সে তলিয়ে যায়। এসময় একত্রে গোসল করতে যাওয়া অন্য শিশুদের ডাকচিৎকার শুনে দৌড়ে এসে বাবা-মা ও দুই খালা মালিহাকে চোখের সামনে তলিয়ে যেতে দেখে তারা খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করেও তার কোন সন্ধান পাননি।

বৃহস্পতিবারও (৩ এপ্রিল) দিনভর সন্ধ্যা নদী ও ওই শাখা খালের বানারীপাড়া ও সীমান্তবর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি ট্রলার নিয়ে স্বজনরা মালিহার মরদেহের খোঁজ করে পাননি। প্রায় ৪১ ঘন্টা পরে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোরে সন্ধ্যা নদীতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!