AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জীবননগরে আসামি ছাড়াতে থানা ঘেরাও


Ekushey Sangbad
জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
০১:০৪ পিএম, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
জীবননগরে আসামি ছাড়াতে থানা ঘেরাও

ঈদগাহ ময়দানের জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শত শত নারী-পুরুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে। এমতবস্থায় বিপাকে পড়ে পুলিশ। পরে পুলিশ আরেক মামলায় অপরপক্ষের দু’জনকে গ্রেফতার করলে গ্রামবাসী শান্ত হয়ে ফিরে যায়। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানায় এ ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মামলায় গ্রেফতার চার জনকে রোববার (৬ এপ্রিল) আদালতে সোপর্দ করা হয়।


এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর দক্ষিণপাড়ার ঈদগাহের প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন সাবেক ইউপি সদস্য জাফিরুল ইসলাম, বর্তমান ইউপি সদস্য তুহিন এবং বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
 

এ ঘটনায় জাফিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের শাহজান আলীরাও আদালতে মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নেওয়ার আদেশ দেন। থানা পুলিশ আদালতের আদেশে মামলা রুজু করে। এর পর স্বপন হোসেন ও নাসির নামে দু’জনকে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর ঈদগাহ কমিটির পক্ষে মনোহরপুর গ্রামের শত শত নারী-পুরুষসহ বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা থানা চত্বরে জড়ো হয় এবং থানা ঘেরাও করে রাখে।


তারা দাবি জানায়, স্বপন ও নাসির নিরাপরাধ মানুষ। তাদের গ্রেফতার করা অন্যায় হয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি, তারা আদালতের আদেশে আসামিদের গ্রেফতার করেছে। ফলে থানা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়ে।


এক পর্যায়ে পুলিশ ঈদগাহ কমিটির দায়ের করা মামলায় নজরুল ইসলাম ডাকু ও রকিবুল নামের দু’জন গ্রেফতার করে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাত ১১ টার দিকে গ্রামবাসী পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে গ্রামে ফিরে যায়।


মনোহরপুর দক্ষিণপাড়া ঈদগাহ কমিটির পক্ষে মামলার বাদী জাফিরুল ইসলাম বলেন, শাহজান আলীর নেতৃত্বে তাদের লোকজন অন্যায়ভাবে ঈদগাহের প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দেয় ও লোকজনকে মারপিট করে। আবার আমাদের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।


জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ব্যাপারে থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। উভয়পক্ষের মামলায় দু’জন করে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এলাকায় আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!