“সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য প্রতিহিংসা ও নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করতে হবে। কারণ, প্রতিহিংসা কখনো কোনো জাতি, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের কল্যাণ বয়ে আনে না”— খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা এ মন্তব্য করেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে জেলা শহরের ঠাকুরছড়া নতুন বাজার মাঠে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসু’ উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “জাতির উন্নয়নের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষা ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। সংস্কৃতি চর্চা, খেলাধুলা ও উৎসব—সবকিছুই শিক্ষার আলোয় বিকশিত হতে হবে। শুধু উৎসবেই আনন্দ করলেই হবে না, আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।”
জিরুনা ত্রিপুরা আরও জানান, “সমাজে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহাবস্থান বজায় রাখতে হবে। সকলকে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তবেই একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ নির্মাণ সম্ভব।”
“আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের আত্মপরিচয়” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের উৎসব বৈসু। অনুষ্ঠানের সূচনায় রঙিন ফিতা কেটে, বেলুন উড়িয়ে ও মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
উদ্বোধনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন- কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ওয়ারেন্ট অফিসার ননী ব্রত ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন —
বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদ, সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রেভিলিয়াম রোয়াজা,
প্রাক্তন জেলা সমবায় কর্মকর্তা রত্ন কান্তি রোয়াজা,
সমাজসেবক অরুণ বিকাশ ত্রিপুরা,
ঠাকুরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনক ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজসেবক পুলক নারায়ণ ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খেলা ‘সুকৈ’, দড়ি টানাটানি (বিবাহিত বনাম অবিবাহিত), ও অন্যান্য স্থানীয় খেলাধুলার মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। অংশগ্রহণ করেন নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রঙিন সাজে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসব উদযাপন করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :