রাজশাহীর তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) ঝিনারপাড়া গ্রামে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বংশপরম্পরায় চার প্রজন্মের ভোগদখলীয় জমি জবরদখলের চেষ্টা করা হয়েছে। ঝিনারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান দিগরের ভোগদখলীয় জমিতে তারা চুনা চাষ (কবুতর খাবার) করেন। কিন্তূ জমির ফসল তারা তুলতে গেলে তাদের বাধা দেন একই গ্রামের খাঁন মোহাম্মদ ও খালেক দ্বিগর। এঘটনায় মুজিবুর বাদি হয়ে খাঁন মোহাম্মদ দিগরের বিরুদ্ধে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর তারা আর জমিতে যায়নি।কিন্তূু নানা ভাবে জমি দখলের ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।
এদিকে গত ৩০ মার্চ মুজিবুর দিগর জমিতে চাষাবাদের জন্য সেচ দিয়ে হাল চাষ করতে গেলে বাধা দেন খান মোহাম্মদ দিগর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় ইসরাইল হোসেন পচার নির্দেশে খাঁন মোহাম্মদ ও খালেক তাদের লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মুজিবুরের লোকজনের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় মুজিবুর, আনোয়ার আজাদ, মুরাদ ও হাবিবুর আহত হয়। এঘটনায় মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে ঝিনারপাড়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর পুত্র ইসরাইল আলীসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামী করে তানোর থানায় পুনরায় আরো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তানোর থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির জেল নম্বর ৪৮,মৌজা ঝিনারপাড়া,খতিয়ান নম্বর আরএস ৮২,দাগ নম্বর আরএস ৩২৭, শ্রেনী ধানী,পরিমান ৩ একর ৩৫ শতক।
পৈতৃক সুত্রে এসব জমির মালিক মুজিবুর রহমান দিগর। কিন্তু ৩ একর ৩৫ শতক জমির মধ্যে ৮৪ শতক জমি ভুলক্রমে মৃত হেরাস সরদারের স্ত্রী আসমা খাতুনের নামে রেকর্ড হয়েছে। এদিকে রেকর্ড সংশোধনের জন্য প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে বিগত ২০২১ সালে রাজশাহীর তানোর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন।যাহার মামলা নম্বর-৯৩/ ২১। কিন্ত্ত আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকার পরেও খাঁন মোহাম্মদ ও খালেক এসব জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :