মৌলভীবাজারে সুজন মিয়া (৩২) নামে জেলা বারের বিজ্ঞ আইনজীবীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রবিবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা চত্ত্বরে তামান্না ফুচকার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে ।
নিহত এডভোকেট সুজন মিয়া শহরের পূর্ব হিলালপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে পৌরসভা প্রাঙ্গণে তামান্না ফুচকার দোকানে সামনে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া। সেখানে হঠাৎ দুুর্বৃত্তরা (কিশোর গ্যাং) তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি জানা যায়নি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে দেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আইনজীবিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাহবুবুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট নিয়ামুল হক। তিনি বলেন, আমাদের সহকর্মী এডভোকেট সুজন মিয়া দুর্বৃত্তের স্টেপিং এর কারনে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃতবরণ করেছেন। এ ঘটনায় আমরা আইনজীবী সমাজ বাকরুদ্ধ। হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। কোন গাফিলতি নয়, আমরা আইনজীবী সমাজ প্রশাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতার প্রয়োগ চাই।
মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ড. মো. আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, এডভোকেট সুজন মিয়া একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। সে তার ভালো কাজ আর মানবিকতা দিয়ে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলো। দুর্বৃত্তদের হাতে তার এই নির্মম পরিণতি আমাদের সবাইকে শোকাহত করেছে। তার জন্য আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা তোমাকে কখনো ভুলব না।
এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা আইনজীবী সুজন হত্যায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :